চীনে ভয়াবহ করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪১ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়াও এখন পর্যন্ত প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ২৮৭ মানুষ। আজ এক বিবৃতিতে এ কথা নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ। এদিকে ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে ফ্রান্সে তিনজন ব্যক্তির শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রে একজন করে সনাক্ত করা হয়েছে। ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে বিমান বন্দরগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ।
চীনের উহান শহরের শনিবার সকালের দৃশ্য এটি। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস আতঙ্কে জনশূন্য হয়ে পড়েছে শহরটি। খুব প্রয়োজন না পড়লে বাইরে বের হচ্ছেন না অধিবাসীরা। তারা বলেন, 'পরিস্থিতি ভয়াবহ। সবার মধ্যে আতঙ্ক কাজ করছে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে এসেছিলাম। এগুলো তো দরকারি।'
এক বিবৃতিতে চীন জানায়, ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই, একইসঙ্গে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও। করোনার কারণে হুবেই প্রদেশের ১২টি শহরে সব ধরণের গণপরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ রাখা হয়েছে। আক্রান্ত রোগীদের সেবা দিতে হিমসিম খাওয়ায় আগামী ১০ দিনের মধ্যে উহানে নতুন একটি হাসপাতাল নির্মাণের কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও দেশব্যাপী বাতিল করা হয়েছে চীনা নববর্ষের বেশ কিছু আয়োজন।
এদিকে ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের তথ্য নিশ্চিত করেছে ফ্রান্স। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কয়েকজন ব্যক্তির শরীরে প্রাণঘাতী ওই ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। আক্রান্তরা সম্প্রতি চীন ভ্রমণ করেছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে নতুন একজনের শরীরে ভাইরাসটি পাওয়া যাওয়ায় বাড়তি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে রাশিয়া। চীন থেকে আসা প্রত্যেকটি বিমানের যাত্রীদের স্ক্রিনিং পরীক্ষার পরই দেশে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে। রাশিয়া ছাড়াও অন্যন্যা দেশও একই পথ অবলম্বন করেছে।
চীনের এই প্রাণঘাতী ভাইরাসের কারণে বিশ্বব্যাপী জরুরি স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডব্লিউ.এইচ.ও'র প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিশেষজ্ঞদের একটি দল। তবে, করোনা ভাইরাস সর্বোচ্চ পর্যায়ে না যাওয়ায়, বিশ্বব্যাপী এখনই সতর্কতা জারির প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
মন্তব্যসমূহ