হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

পেটে ব্যথা নিয়ে চিকিৎসকের কাছে গেলেন মহিলা, ডাক্তার বললেন কন্ডোম কিনতে


এক রোগের অন্য ওষুধ। চিকিৎসকদের এমন ভুল করার খবর প্রায়ই প্রকাশ্যে আসে। আর এই ভুল ঔষুদ দেওয়ার জন্য রোগীকে ভুগতে হয়। কিন্তু এবার ঘটেছে আরও চাঞ্চল্যকর ঘটনা। ঘটনাস্থল অবশ্য ভারতের রাঁচির পশ্চিম সিংভূম জেলা। পেটে ব্যথার সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন এক মহিলা। তাঁর পেটের সমস্যার কথা শুনে, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রেসক্রিপশনে চিকিৎসক লিখে দেন একটি বিশেষ ব্র্যান্ডের কন্ডোমের নাম। ঘটনাটি সম্প্রতি ঘটেছে ঘাটশিলায়। ঠিক কী কারণে এমনটা করলেন ওই চিকিৎসক, তার তদন্তে বসেছে মেডিক্যাল টিম।

যিনি সমস্যাটি নিয়ে চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন, তিনি একজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। ওই মহিলা বেশ কিছুদিন যাবৎ পেটের যন্ত্রনায় ভুগছিলেন। ২৩ জুলাই পশ্চিম সিংভূম জেলার ঘাটশিলা সরকারি হাসপাতালে তিনি গিয়েছিলেন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে। সেখানে ওই চিকিৎসকের দেওয়া প্রেসক্রিপশন নিয়ে ওষুধের দোকানে গেলে তাঁরা ওই মহিলাকে একটি কন্ডোমের প্যাকেট দেন। তখনই ওই মহিলা জানান যে তাঁর পেটে ব্যথা হয়েছে, ওষুধের প্রয়োজন, কন্ডোম নয়। তখনই তিনি ওষুধের দোকানের কর্মচারীদের থেকে জানতে পারেন যে চিকিৎসক তাঁকে কন্ডোম প্রেসক্রাইব করেছেন।

এ কথা জানতে পেরে ওই মহিলা তখন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানা ও হাসপাতালে অভিযোগ দায়ের করেন। ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চা বিধায়ক কুনাল সারঙ্গির হস্তক্ষেপে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে করা ওই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে, একাধিক সমস্যা নিয়ে তদন্ত করার জন্য একজন মনস্তত্ত্ববিদ-সহ মেডিক্যাল দল গঠন করা হয়, যাঁরা রবিবার থেকে তদন্ত শুরু করেছেন। ঘাটশিলা মহকুমা হাসপাতালের ইনচার্জ শঙ্কর টুডু সাংবাদিকদের বলেন, “মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে যাঁরা তদন্ত শুরু করেছেন”। ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিৎসককে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন।

মন্তব্যসমূহ