হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

আপনি আমার বোন: হাসিনাকে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী

কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘বোন হিসেবে’ সম্বোধন করেছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক।

নম পেনে একান্ত ও দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর এক যৌথ বিবৃতিতে দুই নেতা বাংলাদেশ-কম্বোডিয়া সম্পর্ক নতুন মাত্রায় নিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশার কথা বলেছেন।

সোমবার সকালে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পিস প্যালেসে ওই বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক ও প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।

শহীদুল হক বলেন, “বৈঠকে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে বোন হিসেবে সম্বোধন করেন বলেন, ‘আপনি শুধু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীই নন, আপনি আমার বোনও।’ তখন আমাদের প্রধানমন্ত্রীও উনাকে ভাই হিসেবে সম্বোধন করেছেন।”

এর মধ্যে দিয়ে দুই দেশের মধ্যে ‘আলাদা একটি সম্পর্কের আভাস’ পাওয়া যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন পররাষ্ট্র সচিব।

১৯৮৫ সাল থেকে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে আসা হুন সেনের বয়স এখন ৬৫ বছর। এক সময়ের খেমারুজ গেরিলা কমান্ডার হুন দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক রাজনীতিতেও প্রভাবশালী হিসেবে বিবেচিত।

বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মেয়ে শেখ হাসিনাও এ নিয়ে তিন মেয়াদে ১৩ বছর বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এ বছরই জীবনের ৭০ বছর পূর্ণ করেছেন তিনি।

বঙ্গবন্ধু পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট সেনাবাহিনীর একদল কর্মকর্তা ও সৈনিকের হাতে জীবন দিতে হয়। সে সময় বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। তাদের তিন ভাই শেখ কামাল, শেখ জামাল এবং ১১ বছর বয়সী শেখ রাসেলকেও সেদিন হত্যা করে ঘাতকরা।
দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর দুই নেতার যৌথ বিবৃতিতে শেখ হাসিনা কম্বোডিয়াকে আঞ্চলিক প্রতিবেশী হিসেবে বর্ণনা করে নানা বিষয়ে দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সাযুজ্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, বিভিন্ন ফোরামে দুই দেশই শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের পক্ষে একযোগে কথা বলে। গণহত্যার মত বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতা দুই দেশের মানুষেরই হয়েছে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, কম্বোডিয়ার সংঘাত-পরবর্তী শান্তি প্রতিষ্ঠায় এদেশের জনগণের পাশে শুরুতেই এগিয়ে এসেছিল বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা। বাঙালি ও খেমার জাতির মধ্যে প্রাচীন সাংস্কৃতিক সংযোগও রয়েছে।

এই সফরের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ-কম্বোডিয়া সম্পর্ক নতুন মাত্রায় পৌঁছাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামনের দিনগুলোতে একসঙ্গে কাজ করে দুই দশেকে এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।

শেখ হাসিনার কম্বোডিয়া সফরের মধ্য দিয়ে দুদেশের সম্পর্ক আবারও গতিময় হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

হুন সেন জানান, শেখ হাসিনা তাকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন এবং তিনি তা গ্রহণ করেছেন।

পরে ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক বলেন, “আমার মনে হয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সফর খুবই সফল হয়েছে। আমাদের আশার চেয়ে অনেক বেশি আমরা পেয়েছি। দুই দেশের সম্পর্ক ভিন্ন মাত্রায় পৌঁছেছে। কারণটা হল উনাদের (দুই প্রধানমন্ত্রীর) সম্পর্ক।”বিডিনিউজ

মন্তব্যসমূহ