হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

‘জয় বাংলা’ বাধ্যতামূলক করতে চেয়ে কোর্টে রিট

'জয় বাংলা' কে কেন জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছে বাংলাদেশের হাইকোর্ট।
এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ আজ সোমবার এই রুল জারি করে।
৭২ ঘণ্টার মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব এবং শিক্ষা সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির তারিখ আগামী রবিবার (১০ ডিসেম্বর) নির্ধারণ করেছে হাইকোর্ট।
এর আগে আদালতে রিট আবেদনটি করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ড. বশির আহমেদ।
আবেদনের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন।
বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, 'জয় বাংলা' কোনো দলের স্লোগান নয়, এটি আমাদের জাতীয় প্রেরণার প্রতীক।
তিনি বলেন, আদালত যদি এই রিট আবেদনের পক্ষে সিদ্ধান্ত দেয় তাহলে "সকল সরকারি কর্মকর্তা এবং সাংবিধানিক কর্মকর্তাদের বক্তব্যের শুরুতে ও শেষে বাধ্যতামূলকভাবে জয় বাংলা বলতে হবে।" এছাড়া স্কুল-কলেজের অ্যাসেম্বলির শুরু এবং শেষেও "জয় বাংলা" ব্যবহার করতে হবে।
'জয় বাংলা' স্লোগানটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত হলেও কালে কালে এটির সাথে দলীয় রাজনীতির অনুষঙ্গ যোগ হয়েছে। আওয়ামী লীগ তাদের দলীয় সভা সমাবেশে 'জয় বাংলা' ব্যবহার করলেও বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এই স্লোগানের বদলে 'বাংলাদেশ জিন্দাবাদ' ব্যবহার করে।

মন্তব্যসমূহ