হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

সেভ দ্য চিলড্রেনের তথ্য: মৃত্যুঝুঁকিতে রোহিঙ্গা শিশুরা

বাংলাদেশে পালিয়ে আসা প্রতি চারজন রোহিঙ্গা শিশুর মধ্যে একজন অপুষ্টিতে ভুগছে। আর এ কারণে তারা মৃত্যুঝুঁকিতে রয়েছে বলে সতর্ক করেছে শিশু অধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন। সেভ দ্য চিলড্রেনসহ পাঁচটি সংস্থার করা পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশের বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়া এক চতুর্থাংশ রোহিঙ্গা শিশু গত দুই মাস ধরে তীব্র পুষ্টিহীনতায় ভুগছে। এই এক চতুর্থাংশ শিশুর মধ্যে আবার এক তৃতীয়াংশই মারাত্মক অপুষ্টির শিকার। এর অর্থ হলো যেকোনো সুস্থ শিশুর চাইতে এদের মৃত্যুঝুঁকি নয়গুণ বেশি। এই শিশুরা বিভিন্ন ধরনের সংক্রামিত রোগ যেমন ডায়রিয়া এবং বুকে সংক্রমণের ক্ষেত্রে ঝুঁকিতে রয়েছে।
বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানিয়েছে, শিশুদের এই পরিস্থিতিকে আশঙ্কার চেয়েও খারাপ বলে মনে করছেন কক্সবাজারে নিযুক্ত সেভ দ্য চিল্ড্রেনের পুষ্টি পরামর্শক নিকি কনেল। আজ বৃহস্পতিবার নিকি কনেল বলেন, ‘বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শিশুদের বেশিরভাগই আগে থেকে অপুষ্ট ছিল। এরপর তাদের এমন একটি পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছে যেখানে খাবারের জন্য তাদের ত্রাণের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। সেখানে স্বাস্থ্যকর কোনো পরিবেশ নেই, নিরাপদ পানি পাওয়া দুষ্কর। যারা ফলে প্রচুর মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।’ প্রতিদিনই সেভ দ্য চিলড্রেন পরিচালিত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এমন সব শিশুরা চিকিৎসা নিতে আসে যাদের বাঁচানোর জন্য খাদ্য প্রয়োজন বলেও জানান এই কর্মকর্তা। শুধু শিশুরাই নয়, প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষেও রয়েছেন স্বাস্থ্যঝুঁকিতে। সব কিছু দেখে নিকি বলেন, এসব দেখে মনে হচ্ছে অপুষ্টি সংক্রান্ত একটি বড় সমস্যার মুখোমুখি হতে প্রস্তুত হতে হবে। যদি এখনই এসব অপুষ্ট শিশুর জন্য পর্যন্ত পুষ্টিকর খাবারের ব্যবস্থা না করা হয় তাহলে হয়তো একটা বড় সংখ্যক শিশু মারা যাবে। গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমার থেকে পালিয়া আসা রোহিঙ্গাদের ঢল নামে বাংলাদেশে। এখন পর্যন্ত ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা নাগরিক বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছেন।

মন্তব্যসমূহ