মা-বাবার কাছ থেকে পালিয়ে সাত বছরের একটি মেয়ে টিকেট ছাড়াই জেনেভা বিমানবন্দরে থেকে একটি বিমানে উঠে গিয়েছিল। এক লিখিত বক্তব্যে জেনেভা এয়ারপোর্ট জানিয়েছে, রবিবার মেয়েটি জেনেভার সেন্ট্রাল স্টেশনে তার মা-বাবার কাছ থেকে চোখ ফাঁকি দিয়ে একটি ট্রেনে চড়ে বিমানবন্দরে আসে।
মেয়েটি তার ‘ছোট আকৃতির সুবিধা নিয়ে’ নিরাপত্তা তল্লাশিকে ফাঁকি দিতে পেরেছে বলে মনে করছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। তারা এটিকে একটি ‘চরম অনুশোচনীয় ঘটনা’ বলছে। খবর বিবিসির।
সুইজারল্যান্ড-ফ্রান্স বর্ডারে অবস্থিত জেনেভা এয়ারপোর্টটি যাত্রীদের শুধুমাত্র ফ্রান্স বা সুইজারল্যান্ড ছাড়ার অনুমতি দেয়। বিমানবন্দরের মুখপাত্র বারট্রান্ড স্টাম্পফ্লি বলেন, ফ্রান্সের বিমানে উঠার গেট দিয়ে শিশুটি ফ্লাইটে উঠে।
তিনি বলেন, প্রাথমিক নিরাপত্তা তল্লাশির সময় মেয়েটি সম্ভবত পূর্ণবয়স্কদের সাথেই দাঁড়িয়ে ছিল। প্রস্থান গেটের কাছাকাছি আসলে এয়ারপোর্ট স্টাফ শিশুটিকে পেছনে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু মেয়েটি পরে গোপনে বিমানে উঠতে সক্ষম হয়।
কর্মকর্তারা ধারনা করছেন, শিশুটি এমন একটি পথ দিয়ে বিমানে উঠে গেছে যে পথ দিয়ে সে আকৃতির একজন মানুষের পক্ষেই যাওয়া সম্ভব। এর চেয়ে বড় কিছূ সেদিক দিয়ে যেতে পারবে না।
মেয়েটিকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়। নিরাপত্তা ভিডিওর মাধ্যমে মেয়েটির অবস্থান সনাক্ত করে পুলিশ। পরে মেয়েটিকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়।
কর্মকর্তারা বলছেন, এ ঘটনার মাধ্যমে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার যে ত্রুটি রয়েছে সেটি প্রকাশ পেয়েছে। এমনটা যেন আর না হয় সেজন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
বিশ্বের সেরা দেশের স্বীকৃতি পেল সুইজারল্যান্ড
বিশ্বের সেরা দেশের স্বীকৃতি পেল সুইজারল্যান্ড। ইউএস নিউজ এবং ওয়ার্ল্ড রিপোর্টের দ্বিতীয় বার্ষিক ‘বেস্ট কান্ট্রিস’ তালিকায় শীর্ষস্থানীয় সুইজারল্যান্ডের পরেই দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান দখল করেছে যথাক্রমে কানাডা ও ব্রিটেন। আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জায়গা হয়েছে সপ্তম স্থানে।
তবে এই সপ্তম স্থানের চেয়েও আমেরিকানদের জন্য বেশি দুশ্চিন্তার কারণ হল আন্তর্জাতিক মহলে তাদের দেশ সম্পর্কে মানুষের ক্রমবর্ধমান নেতিবাচক ধারনা। বিগত কয়েক বছরে মার্কিন মুলুকের বিষয়ে মানুষের মধ্যে হতাশা বেড়েছে, এমনটাই জানা যাচ্ছে এই স্টাডি থেকে।
২০১৭ সালের ‘বেস্ট কান্ট্রিস’-এর এই তালিকা প্রকাশ হয়েছে একটি সুনির্দিষ্ট সমীক্ষার পর। সেই সমীক্ষা সংঘটিত হয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন মিটে যাওয়ার ঠিক পরেই।
এই সমীক্ষায় বেশ কিছু ব্যবসায়ী, সমাজের অভিজাত শ্রেণীর সচেতন মানুষ এবং সাধারণ নাগরিকদের বিভিন্ন দেশ সম্পর্কে তাদের মতামত জানতে চাওয়া হয়। আর সেখান থেকেই উঠে আসে এই ক্রম তালিকা।
যুক্তরাষ্ট্রে ঠিক যেভাবে কলেজ, হাসপাতাল ও গাড়ি পরিষেবার ক্ষেত্রে মান নির্ধারণ করা হয়, সেভাবেই হয়েছে এই সমীক্ষা।
মন্তব্যসমূহ