হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

সব রোহিঙ্গাকে বিতাড়িত করবে ভারত

ভারতে অবস্থানরত ৪০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলমানের সবাইকে, এমনকি যারা জাতিসংঘ উদ্বাস্তু সংস্থার তালিকাভুক্ত রয়েছে তাদেরও বিতাড়িত করা হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিরেন রাজিজু।

মন্ত্রী গত সপ্তাহে পার্লামেন্টে বলেন, রোহিঙ্গাসহ সব অবৈধ অভিবাসীকে চিহ্নিত ও বহিষ্কার করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য কর্তৃপক্ষগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে।

জাতিসংঘ উদ্বাস্তুবিষয়ক হাই কমিশনার (ইউএনএইচসিআর) ভারতে অবস্থানরত প্রায় ১৬,৫০০ রোহিঙ্গার জন্য পরিচিতিপত্র দিয়েছে তাদেরকে ‘হয়রানি, নির্বিচার গ্রেপ্তার, আটক ও বহিষ্কার প্রতিরোধ করার জন্য।’


কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকারের অত্যন্ত প্রভাবশালী মন্ত্রী রিজিজু বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাতকারে বলেন, ইউএনএইচসিআরের নথিভুক্তকরণের বিষয়টি অপ্রাসঙ্গিক।

তিনি বলেন, ভারত উদ্বাস্তুবিষয়ক জাতিসঙ্ঘ সংস্থার তালিকাভুক্তি মানতে বাধ্য নয়।

মায়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমদের প্রতি আচরণ একটি গুরুত্বপূর্ণ মানবাধিকার ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। মায়ানমারে উগ্র বৌদ্ধ এবং সামরিক বাহিনীর নৃশংস নির্যাতন থেকে রক্ষা পেতে লাখ লাখ রোহিঙ্গা বিভিন্ন দেশে আশ্রয় গ্রহণ করেছে। ভারতে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গা।

রিজিজু বলেন, তারা সবাই অবৈধ অভিবাসী। তাদের এখানে বাস করার কোনো অধিকার নেই। অবৈধ যেকোনো অভিবাসীকে বহিষ্কার করা হবে।

ইউএনএইচসিআরের ভারত অফিস সোমবার রোহিঙ্গাদের বহিষ্কার না করার অনুরোধ করেছে। তবে অফিসটি জানিয়েছে, তারা সরকারিভাবে কোনো চিঠি পায়নি।

গত ৯ অক্টোবর সীমান্ত চৌকিতে কথিত সন্ত্রাসী হামলার পর সামরিক অভিযান শুরু হয়। এরপর থেকে ৭৫ হাজারের বেশির রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।

মন্তব্যসমূহ