শুক্রবার ক্লাসের সিদ্ধান্ত হয়নি, ভুলবশত ফেসবুকে পোস্ট হয়েছিল

শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বরাতে যে বক্তব্যটি শিক্ষামন্ত্রণালয় তাদের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে পোস্ট দিয়েছিল তা ভুলবশত বলে জানিয়েছে তারা। অপর এক পোস্টে আজ রোববার (৫ মে) বিকেলে ৪টার দিকে এই তথ্য জানায় তারা। এই পোস্টে মন্ত্রণালয় আরও বলেছে,  শুক্রবারের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ফেসবুক পেজ থেকে আগের পোস্টটি সরিয়ে নতুন পোস্টে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে ‘শুক্রবার শিক্ষা খোলার বিষয়ের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড পেজে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে দেওয়া তথ্য ভুলবশত পোস্ট করা হয়েছে। এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারের পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’  এর আগে একই পেজে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে বলা হয়েছিল, ‘আমাদের এখন বছরে স্কুলের মোট কর্মদিবস ১৮৫টি। এর মধ্যে ২০ দিন নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নের জন্য রাখা হয়েছে। স্কুলের কর্মদিবস যদি আরও কমে যায়, শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে।’

চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের কাছে পাকিস্তানের অসহায় আত্মসমর্পণ

TOPASIAN24
লক্ষ্য ৪১ ওভারে ২৮৯ রান। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল পাকিস্তান। উদ্বোধনী জুটিতে ৪৭ রান জমা করেছিলেন দুই ওপেনার আজহার আলী ও আহমেদ শেহজাদ। কিন্তু এরপর বড় কোনো জুটি গড়ে তুলতে পারেননি পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা। তাই চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বড় ব্যবধানে হেরে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাদের। বার্মিংহামে এই ম্যাচে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে ভারত ১২৪ রানের বিশাল ব্যবধানে জিতেছে।

ভারতের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে পাকিস্তানের ইনিংস গুটিয়ে যায় মাত্র ১৬৪ রানে। উদ্বোধনীতে নামা আজহার আলীর ৫০ এবং মোহাম্মদ হাফিজের ৩৩ রান ছাড়া তাদের কোন ব্যাটসম্যানই খুব একটা দৃঢ়তা দেখাতে পারেননি। যে কারণে তাদের হারটা হয়েছে আরো দ্রুত।

উমেশ যাদব ৩০ রানে তিনটি, রবিন্দ্র জাদেজা ও হার্দিক পান্ডে দুটি করে উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং ধস নামান।

তা ছাড়া ম্যাচে পাকিস্তান কখনোই ব্যাটে-বলে খুব একটা প্রাধান্য বিস্তার করতে পারেনি। তাই স্বাভাবিক কারণে বড় ব্যবধানে হারের স্বাদ নিতে হয়েছে তাদের। বিশেষ করে ব্যাটিংয়ে ভারতীয় বোলাদের বিপক্ষে নূন্যতম প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা।

ম্যাচের নবম ওভারে ভারত পেয়েছিল প্রথম সাফল্য। ভুবনেশ্বর কুমার এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেছিলেন শেহজাদকে। তিন ওভার পর ভারত দ্বিতীয় সাফল্যটি পেয়েছে উদেশ যাদবের কল্যানে। ৮ রান করে ফিরে গেছেন বাবর আজম। তৃতীয় উইকেটে ৩০ রানের জুটি গড়ে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন আজহার ও মোহাম্মদ হাফিজ। কিন্তু ২১তম ওভারে রবীন্দ্র জাদেজার শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয়েছে ৫০ রান করা আজহারকে। পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ঝড়ো ব্যাটিংয়ের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন শোয়েব মালিক। দুটি চার ও একটি ছয় মেরে করেছিলেন ১৫ রান। কিন্তু তাঁকেও সাজঘরে ফিরতে হয়েছে রানআউটের ফাঁদে পড়ে। ২৭তম ওভারে পাকিস্তান হারিয়েছে পঞ্চম উইকেট। জাদেজার বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ভুবনেশ্বর কুমারের হাতে ধরা পড়েছেন মোহাম্মদ হাফিজ। সাজঘরে ফিরেছেন ৩৩ রান করে। পরের ওভারে ইমাদ ওয়াসিম আউট হয়েছেন রানের খাতা না খুলেই। এক ওভার পর হার্দিক পান্ডে ফিরিয়েছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদকে।

বারবার বৃষ্টির বাধার মুখে পড়ছে ভারত-পাকিস্তানের হাই ভোল্টেজ ক্রিকেট ম্যাচটি। ভারতের ইনিংসের সময় বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ রাখতে হয়েছিল দুই দফায়। ম্যাচের দৈর্ঘ্যও কমিয়ে আনা হয়েছে ৪৮ ওভারে। ৩২০ রানের বড় লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানও পড়েছে বৃষ্টির বাধার মুখে। পাকিস্তানের ইনিংসের পঞ্চম ওভারে আবার বৃষ্টি হানা দিয়েছে এজবাস্টনে। ফলে বন্ধ রাখতে হয়েছে খেলা। ১৫-২০ মিনিট পর অবশ্য আবার মাঠে গড়িয়েছে ব্যাট-বলের লড়াই। তবে আরেক দফা কমিয়ে আনতে হয়েছে ম্যাচের দৈর্ঘ্য। পাকিস্তানের সামনে নতুন লক্ষ্য নির্ধারিত হয়েছে ৪১ ওভারে ২৮৯ রান।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ভারত গড়েছে বড় সংগ্রহ। দুই ওপেনার রোহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ান, অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও যুবরাজ সিংয়ের দারুণ ব্যাটিংয়ে ভর করে ৪৮ ওভারে ভারতের স্কোরবোর্ডে জমা হয়েছে ৩১৯ রান। অর্ধশতক করেছেন চারজনই। রোহিত শর্মা পৌঁছে গিয়েছিলেন শতকের দ্বারপ্রান্তে। কিন্তু রানআউটের শিকার হওয়ায় তাঁকে থেমে যেতে হয়েছে ৯১ রানে। অধিনায়ক কোহলি খেলেছেন ৬৮ বলে ৮১ রানের ঝড়ো ইনিংস। শিখর ধাওয়ানের ব্যাট থেকে এসেছে ৬৮ রান। যুবরাজ সিং করেছেন ৩২ বলে ৫৩ রান।

মন্তব্যসমূহ