হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

কাতার সংকট সমাধানে রেক্স টিলারসনের আহ্বানে আরব দেশের সাড়া নেই

মানিবক বিপর্যয়ের আশঙ্কার বিষয়ে সতর্ক করে কাতার সংকট সমাধানের জন্য মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে আহ্বান জানিয়েছেন তাতে কার্যত সাড়া দেয়নি উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলো।
বরং সন্ত্রাসে পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ তুলে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর এবং বাহরাইন কাতারের সাথে সব ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার পর এই পদক্ষেপের সমর্থনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছে দেশগুলো।
আরব আমিরাত মিস্টার ট্রাম্পের নেতৃত্বের প্রশংসা করেছে। কিন্তু তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন কাতারের ওপর এ ধরনের পদক্ষেপের ফলে মানবিক বিপর্যয়ের ফলাফল সৃষ্টি হতে পারে বলে অবরোধ শিথিলের যে আহ্বান জানিয়েছেন সে বিষয়ে নিশ্চুপ মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশগুলো।
মিস্টার টিলারসেন বলেন, একদিকে এটা মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা তৈরি করবে অন্যদিকে তা সন্ত্রাস প্রতিরোধে আঞ্চলিক সহাবস্থানের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলবে।
তিনি আরও বলেন এই ধরনের অবরোধ এই অঞ্চলে মার্কিন এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত করবে।
অন্যদিকে কাতারকে উদ্দেশ্য করে শুক্রবার মি ট্রাম্প বলে, "মানুষের দ্বারা অন্য মানুষকে হত্যার শিক্ষাদান থেকে বিরত থাকুন"।
তিনি বলেন, "আমি রেক্স টিলারসনের সাথে মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, সন্ত্রাসী মতাদর্শে আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা দেয়া বন্ধ করার জন্য কাতারকে চাপ প্রয়োগের সময় এসেছে। এক্ষেত্রে ঐক্যবদ্ধ দেশগুলোর সাথে কাতারও ফিরে আসবে তিনি এমনটা মনে করেন বলেও উল্লেখ করেন"।
মি ট্রাম্পের এই বক্তব্য তার প্রশাসনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের বিপরীত। তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীরআহ্বানের পর এখন পর্যন্ত সৌদি আরব, বাহরাইন এবং আরব আমিরাতের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোন বক্তব্য আসেনি।
সন্ত্রাসে পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ তুলে সোমবার কাতারের সাথে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের ছয়টি দেশ। তবে এ অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে আসছে কাতার। বিবিসি

মন্তব্যসমূহ