হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

বাংলাদেশে পাহাড় ধসে মৃতের সংখ্যা প্রায় দেড়শো

বাংলাদেশে অতি বর্ষণে পাহাড় ধসে রাঙামাটি, বান্দরবান, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারের টেকনাফ এবং খাগড়াছড়িতে নিহতের সংখ্যা সর্বশেষ খবর অনুযায়ী ১৪৭ জনে পৌঁছেছে বলে জানা যাচ্ছে।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে রাঙামাটিতে। সেখানে ১০৪ জন নিহত হবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে রাঙামাটি জেলা কর্তৃপক্ষ। মৃতদের মধ্যে মহিলা ও শিশু রয়েছে।
স্থানীয় সাংবাদিক সুনীল কান্তি দে বিবিসি বাংলাকে বুধবার সকালে জানান, রাঙামাটিতেই নিহতের সংখ্যা দুইশো ছাড়িয়ে যাবার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
"এখন আলোও ফুটে উঠেছে। পানিও কমে যাচ্ছে। এখন হয়তো আরো মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হবে" -বলেন সুনীল কান্তি দে।
এর আগে রাঙামাটির পুলিশ সুপার জানান, নিহতদের মধ্যে সেনাবাহিনীর চার জন সদস্য রয়েছে। তারা মানিকছড়ি ক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন।
ঢাকায় আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে সেনাবাহিনীর দুজন অফিসার রয়েছে। এখনো কয়েকজন সেনা সদস্য নিখোঁজ আছে বলে তারা জানিয়েছেন।
অন্যদিকে পাহাড় ধসে বান্দরবানে ছয় জন এবং চট্টগ্রামে মোট ৩৪ জন নিহত হয়েছেন।
বুধবার সকাল থেকে উদ্ধার অভিযান চলছে।
তবে এসব জায়গায় মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রাঙামাটির পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, সেখানে মঙ্গলবারও প্রবল বৃষ্টিপাত হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ বন্ধ হয়েছে।
ফলে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে পায়ে হেঁটে বিভিন্ন এলাকায় যেতে হচ্ছে। পরিস্থিতি সস্পর্কে পরিষ্কার চিত্র পেতে আরো অপেক্ষা করতে হবে।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার সঞ্চিত কুমার বিবিসিকে বলেন, প্রবল বর্ষণে ভূমি ধসের সাথে গাছপালা ভেঙ্গে পড়েছে।
জেলার অধিকাংশ জায়গায় কোন বিদ্যুৎ নেই। উদ্ধারকাজের জন্য বিভিন্ন জায়গায় সেনাবাহিনীর সদস্যরাও যোগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মি: কুমার।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রবিবার এবং সোমবার টানা ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে বিভিন্ন জায়গায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। ফলে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী অনেক বাড়ি মাটি চাপা পড়েছে। বিবিসি

মন্তব্যসমূহ