হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

ওয়াশিংটনে এরদোগান বিরোধী বিক্ষোভে আহত ৯, আটক ২

ওয়াশিংটনে তুর্কি দূতাবাসের বাইরে এরদোগান বিরোদীরা বিক্ষোভ করেছে। এই বিক্ষোভে অন্তত ৯ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এসসময় অন্তত দু'জনকে আটক করা হয়েছে।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হোয়াইট হাউসে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠকের পর এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভকারীরা শেরিডান সার্কেল বন্ধ করে দেন।

তুর্কি রাষ্ট্রদূতের বাসভবনের বাইরে প্রায় দুই ডজন মানুষকে এই বিক্ষোভে অংশ নিতে দেখা গেছে।


বাল্টিমোরের ফ্লিন্ট আর্থার সিএনএনকে বলেন, ‘আমরা তুরস্ক, সিরিয়া এবং ইরাক নিয়ে এরদোগানের নীতির প্রতিবাদ করছি।’


তবে, বিরোধীদের মধ্যে কি নিয়ে বিভেদ শুরু হয়েছিল তা স্পষ্ট নয়। তাদের এক পক্ষকে স্লোগানসহ কুর্দি পতাকা ও এরদোগান বিরোধী পোস্টার বহন করতে দেখা গেছে। এসময় অন্যদের তুর্কি পতাকা নেড়ে স্লোগান দিতে দেখা যায়।

একজন টুইট করেছে জানান যে, বিক্ষোভকারী ও পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে সম্ভবত এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।


একজন জানান, এরদোগানের নিরাপত্তা সদস্যরা এই সংঘর্ষে জড়িত ছিল। মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে এরদোগানকে স্বাগত জানান।

ওভাল অফিসে এরদোগানকে স্বাগত জানিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের মধ্য একটি চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে এবং এই সম্পর্কে আরো উন্নত করতে হবে। আমরা একটি দৃঢ় এবং সলিড আলোচনার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি।’


মধ্য এপ্রিলের গণভোটে জয়ী হওয়ার জন্য ট্রাম্প এরদোগানকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছিলেন।

ট্রাম্পের প্রশংসা সত্ত্বেও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক তেমন মধুর নয়। এরদোগানের সঙ্গে আমেরিকার নীতি সম্পর্কে তুর্কি নেতা এক বিশাল অভিযোগের তালিকা নিয়ে এসেছেন।

সূত্র: আরটি ডটকম

মন্তব্যসমূহ