তুরস্কের পুনর্গঠিত বিচার বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের সাত সদস্যকে নির্বাচিত করেছেন দেশটির পার্লামেন্ট সদস্যরা।
বুধবার পার্লামেন্টে ভোটের মাধ্যমে পার্লামেন্ট সদস্যদের মধ্য থেকে তাদের নির্বাচিত করা হয়। সম্প্রতি অনুমোদিত দেশটির সাংবিধানিক পরিবর্তনের এটি হচ্ছে দ্বিতীয় দফার পরিবর্তন।
পূর্বে জুডিশিয়াল কাউন্সিলের অধিকাংশ নিয়োগ জুডিশিয়াল সদস্যদের দ্বারা নির্ধারিত ছিল। কিন্তু গত মাসের হাড্ডাহাড্ডি গণভোটের ফলাফল পার্লামেন্ট সদস্যদেরকে এটি নির্বাচিত করার ক্ষমতা দেয়।
এই পদক্ষেপের সমালোচনাকারীরা বলছে, তারা (ক্ষমতাসীনরা) বিচার বিভাগের ওপর রাজত্ব করবে। তবে, সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে এটি ‘গণতান্ত্রিক বৈধতাকে’ শক্তিশালী করবে।
তুরস্কের দুটি বৃহত্তম বিরোধী দল বলেছে তারা গতকাল রাতের পার্লামেন্টের ভোট বর্জন করেছে। তাদের যুক্তি, গণভোট অবৈধ ছিল এবং তা বাতিল করা উচিত।
এরদোগান বলছেন যে, অস্থিতিশীলতা এড়াতে প্রেসিডেন্টের অধিক ক্ষমতায়নের প্রয়োজন। অন্যদিকে, বিচার বিভাগীয় স্বাধীনতা হ্রাস এবং তুরস্ককে এক-পুরুষ শাসনের দিকে ধাবিত করার জন্য বিরোধিরা তাকে অভিযুক্ত করছে।
যদিও, ন্যাটোর একজন সদস্য হিসেবে দেশটির স্থিতিশীলতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য অত্যাবশ্যক।
গণভোটে অনুমোদিত পরিবর্তনগুলির অধীনে বিচারক ও প্রসিকিউটর কাউন্সিলের সদস্য ২২ জন থেকে ১৩ জনে নামিয়ে আনা হচ্ছে।
সাতজন কাউন্সিল সদস্যকে দুটি প্রধান আদালত ও আইন সভা থেকে নির্বাচিত করা হয়; যা ৫৫০ সদস্য বিশিষ্ঠ পার্লামেন্টের ৩৩০ টি প্রয়োজনীয় ভোটের চেয়েও বেশি ভোটে অনুমোদিত হয়।
পার্লামেন্টে ক্ষমতাসীন একে পার্টির ৩১৭টি আসন রয়েছে এবং ন্যাশনালিস্ট এমএইচপি’র ৩৬ টি আসন রয়েছে। দলটি একে পার্টির অন্যতম মিত্র।
মোট ২১ জন প্রার্থীর মধ্য থেকে সাতজনকে মনোনীত করা হয়। তাদের সবাইকে পার্লামেন্টারি কমিশনের অধীনে একে পার্টি ও এমএইচপি’র সদস্যরা মনোনীত করেন।
তাদের মধ্য ছয় কাউন্সিল সদস্য হল বিচারমন্ত্রী ও বিচার মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ। পাশাপাশি চারজন সদস্যকে প্রেসিডেন্ট নিজে মনোনীত করেছেন।
পুরোনো ফরম্যাটের অধীনে ২২ সদস্যের বোর্ডের ১৬ জন বিচার বিভাগের সদস্যদের দ্বারা নির্বাচিত হতেন।
সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস
মন্তব্যসমূহ