শুক্রবার ক্লাসের সিদ্ধান্ত হয়নি, ভুলবশত ফেসবুকে পোস্ট হয়েছিল

শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বরাতে যে বক্তব্যটি শিক্ষামন্ত্রণালয় তাদের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে পোস্ট দিয়েছিল তা ভুলবশত বলে জানিয়েছে তারা। অপর এক পোস্টে আজ রোববার (৫ মে) বিকেলে ৪টার দিকে এই তথ্য জানায় তারা। এই পোস্টে মন্ত্রণালয় আরও বলেছে,  শুক্রবারের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ফেসবুক পেজ থেকে আগের পোস্টটি সরিয়ে নতুন পোস্টে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে ‘শুক্রবার শিক্ষা খোলার বিষয়ের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড পেজে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে দেওয়া তথ্য ভুলবশত পোস্ট করা হয়েছে। এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারের পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’  এর আগে একই পেজে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে বলা হয়েছিল, ‘আমাদের এখন বছরে স্কুলের মোট কর্মদিবস ১৮৫টি। এর মধ্যে ২০ দিন নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নের জন্য রাখা হয়েছে। স্কুলের কর্মদিবস যদি আরও কমে যায়, শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে।’

জার্মানিতে হিজাবি মুসলিম নারীরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন

জার্মানিতে হিজাব পরিহিত মুসলিম নারীরা বিভিন্ন ধরনের বৈষম্যমূলক আচরণের শিকার হলেও তাদের অধিকাংশই এ বিষয়ে কোন অভিযোগ দায়ের করেন না।

দেশটির ফেডারেল এন্টি ডিসক্রিমিনেশন এজেন্সির (এডিএস) প্রধান একথা বলেন।

আনাদোলু এজেন্সিকে দেয়া সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাত্কারে এন্টি ডিসক্রিমিনেশন এজেন্সির ক্রিস্টিন লাউডার্স বলেন, জার্মানির শ্রম বাজারে, ফিটনেস ক্লাবগুলিতে কিংবা অ্যাপার্টমেন্টের ভাড়া দেয়া-নেয়ার সময় হিজাব পরিহিত নারীরা প্রায়ই বৈষম্যের সম্মুখীন হয়।


তিনি বলেন, ‘অনেক মানুষই জানে না যে জার্মানিতে হিজাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা নিষিদ্ধ।’

তিনি আরো বলেন, ‘ফিটনেস স্টুডিও কিংবা নিয়োগকর্তারা ধর্মীয় প্রতীক পরিধান করেন এমন ব্যক্তিদের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে না।’

লাইডার্সের তথ্যানুযায়ী, ফেডারেল অ্যান্টি-ডিসক্রিম্যানেশন এজেন্সি ২০১৬ সাল থেকে ২১,০০০টিরও বেশি বৈষম্যমূলক অভিযোগ পেয়েছে। কিন্তু তাদের মধ্যে মাত্র ৩০০টি হিজাব পরিহিত মহিলাদের দ্বারা দায়ের করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘যদিও এই পরিসংখ্যান প্রকৃত সংখ্যা সম্পর্কে বেশি কিছু বলতে পারে না।’

লাইডার্স বলেন, ‘সাধারণভাবে, যখন আমরা বৈষম্যের কথা বলি তখন সেখানে সর্বদা অপ্রকাশিত অনেক বৈষ্যমের ঘটনা থাকে। কারণ অনেক মানুষ বৈষম্যমূলক আচরণকে অনকেটা নিরবে সহ্য করে যায় কিংবা এ বিষয়ে কোথায় সহায়তা পেতে পারে সেসম্পর্কে তারা জানে না।’

জার্মানি প্রায় ৪.৭ মিলিয়ন মুসলমান বাস করে। জার্মান সংবিধান দ্বারা দেশটির সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষা করা হয়েছে।

তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মুসলিম বিরোধিতার উত্থানের ফলে হিজাব পরিহিত মুসলিম নারীরা চরম বৈষম্য মুখোমুখি হচ্ছেন। শরণার্থী সংকটকে কেন্দ্র করে দেশটির কয়েকটি ডানপন্থী দল মুসলিম বিরোধী প্রচারণা চালাচ্ছে।

মন্তব্যসমূহ