জিম্মিকে ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরাইলের ছয় বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এ দিনই ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল ইসরাইলের। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে ইসরাইলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আপাতত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না। শনিবার দিবাগত রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। খবর এএফপির। নেতানিয়াহু বলেন, ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের জিম্মিদের অসম্মান করা এবং অপপ্রচারের জন্য জিম্মিদের নিন্দনীয়ভাবে ব্যবহার করাসহ হামাসের বারবার (যুদ্ধবিরতির চুক্তি) লঙ্ঘনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পরবর্তী ধাপে অপমানজনক অনুষ্ঠান ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত শনিবার যেসব সন্ত্রাসীদের (ফিলিস্তিনি) মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাদের ছাড়া হবে না।’ দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস রক্তাক্ত সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর পর থেকে যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের মুক্তির সময় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ...

জার্মানিতে হিজাবি মুসলিম নারীরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন

জার্মানিতে হিজাব পরিহিত মুসলিম নারীরা বিভিন্ন ধরনের বৈষম্যমূলক আচরণের শিকার হলেও তাদের অধিকাংশই এ বিষয়ে কোন অভিযোগ দায়ের করেন না।

দেশটির ফেডারেল এন্টি ডিসক্রিমিনেশন এজেন্সির (এডিএস) প্রধান একথা বলেন।

আনাদোলু এজেন্সিকে দেয়া সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাত্কারে এন্টি ডিসক্রিমিনেশন এজেন্সির ক্রিস্টিন লাউডার্স বলেন, জার্মানির শ্রম বাজারে, ফিটনেস ক্লাবগুলিতে কিংবা অ্যাপার্টমেন্টের ভাড়া দেয়া-নেয়ার সময় হিজাব পরিহিত নারীরা প্রায়ই বৈষম্যের সম্মুখীন হয়।


তিনি বলেন, ‘অনেক মানুষই জানে না যে জার্মানিতে হিজাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা নিষিদ্ধ।’

তিনি আরো বলেন, ‘ফিটনেস স্টুডিও কিংবা নিয়োগকর্তারা ধর্মীয় প্রতীক পরিধান করেন এমন ব্যক্তিদের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে না।’

লাইডার্সের তথ্যানুযায়ী, ফেডারেল অ্যান্টি-ডিসক্রিম্যানেশন এজেন্সি ২০১৬ সাল থেকে ২১,০০০টিরও বেশি বৈষম্যমূলক অভিযোগ পেয়েছে। কিন্তু তাদের মধ্যে মাত্র ৩০০টি হিজাব পরিহিত মহিলাদের দ্বারা দায়ের করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘যদিও এই পরিসংখ্যান প্রকৃত সংখ্যা সম্পর্কে বেশি কিছু বলতে পারে না।’

লাইডার্স বলেন, ‘সাধারণভাবে, যখন আমরা বৈষম্যের কথা বলি তখন সেখানে সর্বদা অপ্রকাশিত অনেক বৈষ্যমের ঘটনা থাকে। কারণ অনেক মানুষ বৈষম্যমূলক আচরণকে অনকেটা নিরবে সহ্য করে যায় কিংবা এ বিষয়ে কোথায় সহায়তা পেতে পারে সেসম্পর্কে তারা জানে না।’

জার্মানি প্রায় ৪.৭ মিলিয়ন মুসলমান বাস করে। জার্মান সংবিধান দ্বারা দেশটির সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষা করা হয়েছে।

তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মুসলিম বিরোধিতার উত্থানের ফলে হিজাব পরিহিত মুসলিম নারীরা চরম বৈষম্য মুখোমুখি হচ্ছেন। শরণার্থী সংকটকে কেন্দ্র করে দেশটির কয়েকটি ডানপন্থী দল মুসলিম বিরোধী প্রচারণা চালাচ্ছে।

মন্তব্যসমূহ