হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

হিজাব না পরায় বরখাস্ত ইরানি নারী ফুটবলার

ইরানের শিভা আমিনি নামে এক নারী ফুটবলার খেলার সময় হিজাব না পরায় জাতীয় দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

ডেইলি মেইল অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই নারী ফুটবলারের নাম শিভা আমিনি। সম্প্রতি ছুটি কাটাতে সুইজারল্যান্ডে যান তিনি। সেখানে একটি মাঠে ছেলেদের ফুটবল খেলতে দেখেন। তা দেখে নিজেকে সামলাতে না পেরে তাদের সঙ্গে খেলতে নেমে পড়েন। পরে নিজের খেলার ছবি ফেসবুকে আপলোডও করেন।

বিষয়টি ইরান ফুটবল ফেডারেশন কর্তাদের নজরে পড়লে তাদের রোষাণলে পড়েন আমিনি। কোনো অযুহাত না শুনে তাকে সরাসরি বরখাস্ত করেন।


১৯৭৯ সালে ইসলামি অভ্যুত্থানের পর ইরানে নারীদের বোরকা ও হিজাব পরা বাধ্যতামূলক করা হয়। সেই আইন এখনো চালু রয়েছে। তা অনযায়ী, ফুটবল খেলার সময় নারীদের হিজাব পরা বাধ্যতামূলক। মূলত সেই বিধি ভঙ্গ করায় তাকে বহিষ্কার করা হলো।

অবশ্য এ সিদ্ধান্তের কড়া জবাব দিতে ছাড়েননি আমিনি। এ ফুটবলার বলেন, হিজাবের চেয়ে খেলাধুলা বড়। এটি আমাদের জন্য (নারী ফুটবলার) একেবারে বাজে ইস্যু। তাদের সঙ্গে খেলে আমি দেশের আইন ভাঙিনি। কারণ, আমাদের আইন শুধু দেশের গণ্ডির মধ্যেই বলবৎ। সুইজারল্যান্ডে এসে সেই আইন মানার প্রশ্নই আসে না। সেখানে আমি দেশের হয়ে খেলতে যায়নি।

তিনি আরো বলেন, ফেডারেশন থেকে বলা হচ্ছে আমি পুরুষদের সঙ্গে খেলেছি। কিন্তু এ তথ্য ভুল। যাদের সঙ্গে খেলেছি তারা ছিল ছোট ছোট ছেলে। ফেডারেশন কর্তাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, তাদের প্রত্যেকের বয়স ৯ থেকে ১০ বছরের মধ্যে। এ সিদ্ধান্ত আমাকে যেমন ব্যথিত করেছে, ঠিক তেমন সমগ্র সমাজব্যবস্থাকে আঘাত করেছে। ধর্মীয় দোহাই দিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া যায় না।

মন্তব্যসমূহ