হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

মালয়েশিয়ার পাঠানো ত্রাণ দিয়ে দুই মাস চলবে রোহিঙ্গাদের

বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের জন্য মালয়েশিয়া যে ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়েছে সেটি দিয়ে প্রায় ৬৫ হাজার রোহিঙ্গার জন্য দেড় থেকে দু’মাস খাবারের সংস্থান হবে বলে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে।

বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের জন্য এভাবে জাহাজে করে ত্রাণ পাঠানোর ঘটনা এর আগে কখনো শোনা যায়নি।

রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণ বহনকারী মালয়েশিয়ার জাহাজ সোমবার দুপুরেই সোনাদিয়া দ্বীপ হয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করেছে।


বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা রোহিঙ্গাদের মাঝে এ ত্রাণ বিতরণ করবে।

তবে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কোন সংস্থা কতটা ত্রাণ বিতরণ করবে সেটি এখনো নির্ধারিত হয়নি।

ত্রাণের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী ছাড়াও নানা ধরনের সামগ্রী রয়েছে। খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে বিস্কুট, চাল, চিনি, ময়দা এবং ভোজ্য তেল রয়েছে।

এছাড়া খাদ্য সামগ্রীর পাশাপাশি বাথ টাওয়েল, স্যানিটারি প্যাড, টুথব্রাশ,ডেটল ইত্যাদি সামগ্রী রয়েছে।

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সেক্রেটারি বিএমএ মোজাম্মেল হক বলছেন, ‘আমরা হিসেব করে দেখেছি, যে ফুড আইটেম (খাদ্য সামগ্রী) যা আসছে সেটা যদি আমরা শুধু নিউ অ্যারাইভালদের (নতুন আসা) মাঝে বিতরণ করি তাহলে এটা দিয়ে তাদের প্রায় দেড়-থেকে দু'মাস চলবে।’

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামসুল আরেফিন জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসনের উপস্থিতিতে জাহাজের ত্রাণ বাংলাদেশ সরকারের কাছে তুলে দেয়া হবে।

মঙ্গলবার সকালে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এ সময় চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার, বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবে।

কর্মকর্তারা বলছেন, ত্রাণ সামগ্রী বুঝে নেবার পর মঙ্গলবার থেকেই সেগুলো জাহাজ থেকে খালাসের কাজ শুরু হবে এবং ট্রাকে করে কক্সবাজার পাঠিয়ে দেয়া হবে।

এর আগে এই ত্রাণ বহনকারী জাহাজটি মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গাদের জন্য জরুরী খাদ্য ও অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে গিয়েছিলো।

সেখানে ৫০০ টন ত্রাণ নামিয়ে বাকি বাইশ শত টন ত্রাণ বাংলাদেশে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের জন্য আনার কথা ছিলো।

কিন্তু রাজধানী রেঙ্গুনে তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে।

অক্টোবর মাসে রাখাইন রাজ্যে নতুন করে সেনাবাহিনীর অভিযান শুরু হওয়ার পর প্রায় ৭০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছে।

তার আগেই অনেক বছর ধরে চার লাখের মতো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। যারা মূলত কক্সবাজারে বাস করছে।

বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী প্রধান মায়ানমারে প্রায়ই রোহিঙ্গা মুসলিম সম্প্রদায় নির্যাতনের শিকার হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। মায়ানমারে অনেকেই রোহিঙ্গাদের অবৈধ বাংলাদেশি বলে মনে করে।

সূত্র: বিবিসি

মন্তব্যসমূহ