হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

পৃথক ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের নীতি থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র!

যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন ফিলিস্তিনি সংকটের দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান থেকে সরে দাঁড়াতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে।
ফিলিস্তিনিদের জন্য ইসরায়েলের পাশাপাশি একটি পৃথক রাষ্ট্র গঠনের কথা বলা হয় দুই রাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধানে। ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের আগেকার সীমানা অনুযায়ী সব ফিলিস্তিনি এলাকাকে নিয়ে জেরুসালেমকে রাজধানী করে এই রাষ্ট্র গঠিত হওয়ার কথা। এতদিন পর্যন্ত সব মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই নীতি সমর্থন করে এসেছেন।
কিন্তু এই প্রথম কোন মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই নীতি থেকে সরে দাঁড়াতে যাচ্ছেন।
হোয়াইট হাউসের একজন মুখপাত্র বলেছেন, দুটি পৃথক রাষ্ট্র গঠনের মাধ্যমে ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা নাও হতে পারে।
তিনি আরও বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী। কিন্তু এই লক্ষ্য অর্জনের আরও অনেক পথ আছে।
বিবিসির মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সম্পাদক বলছেন, ইসরায়েলের কট্টরপন্থীরা চায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুটি পৃথক রাষ্ট্র গঠনের ধারণা থেকে সরে আসুন। কারণ তারা মনে করে যে ভূখন্ড নিয়ে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠিত হবে, সেসব জায়গা ইসরায়েলের দরকার।
হোয়াইট হাউস মধ্যপ্রাচ্য সংকট নিয়ে তাদের এই নতুন অবস্থানের ইঙ্গিত দিয়েছে ওয়াশিংটনে ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মধ্যে আনুষ্ঠানিক আলোচনার আগে।
নতুন মার্কিন প্রশাসনের এই বক্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ফিলিস্তিনিরা।
প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গেনাইজেশনের (পিএলও) হানান আশরাবি বলেছেন, এটা কোন দায়িত্বশীল নীতি হতে পারে না এবং এতে শান্তির লক্ষ্যে কোন ফল হবে না। বিবিসি

মন্তব্যসমূহ