হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

কাশ্মীরে ফের স্বাধীনতাকামীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতীয় সেনাসহ নিহত ৮

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে আবারো পৃথক দুই জঙ্গিবিরোধী সেনা অভিযান তুমুল সংঘর্ষে ৪ সেনা সদস্যসহ অন্তত ৮জন নিহত হয়েছে। দেশটির সেনাসূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

পরপর সীমান্তে গোলাগুলি ও একাধিক জঙ্গিবিরোধী অভিযানকে কেন্দ্র করে কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এসব এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার কাশ্মীরের বান্দিপোরা জেলায় জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে ৩ সেনা ও এক সন্দেহভাজন জঙ্গি নিহত হয়। এতে এক বেসামরিক নাগরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর ৫ সদস্য আহত হয়। পরে হান্দওয়ারা জেলায় আরো একটি জঙ্গিবিরোধী অভিযানে ৩ জঙ্গি ও এক সেনা কর্মকর্তা নিহত হয়। এদের মধ্যে মেজর পর্যায়ের এক সামরিক কর্মকর্তা ছিলেন।


এর আগে, সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ রেখায় গোলাগুলিতে ৩ পাকিস্তানি সেনা নিহতের খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম।

এদিকে, জম্মু-কাশ্মীরের সাম্বা জেলা সীমান্তে একটি সুরঙ্গের সন্ধান পেয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী। ২০ মিটার দীর্ঘ সুরঙ্গটির উৎস পাকিস্তানের ভূখণ্ডে বলে দাবি বিএসএফ- এর।

কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ভারতীয় ও পাকিস্তানি বাহিনীর মধ্যে প্রায়ই গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটছে। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের উরিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ঘাঁটিতে হামলার পর থেকে কাশ্মীর নিয়ে দুই দেশের বিদ্যামন উত্তেজনা তীব্রতায় রূপ নেয়। উরি হামলার কয়েকদিন পরই পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ‘সার্জিক্যাল হামলা’ চালানোর দাবি করে ভারত।

প্রসঙ্গত, ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গিবিরোধী অভিযানের কথা বলা হলেও প্রকৃত পক্ষে জম্মু-কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামীদের দমনে নিপীড়ন চালাচ্ছে দেশটির সরকার।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ও  হিন্দুস্তান টাইমস অবলম্বনে

মন্তব্যসমূহ