মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ফের বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। এবার ট্রাম্প বিরোধী বিক্ষোভে সরাসরি অংশ নিলেন সদ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার বড় মেয়ে মালিয়া।
যুক্তরাষ্ট্রের ডাকোটা রাজ্যে জ্বালানি পাইপলাইন নির্মাণ নিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্বাক্ষরিত নির্দেশিকার প্রতিবাদে বিক্ষোভে অংশ নেয় মালিয়া।
এদিকে ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির প্রতিবাদে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র। মুসলিমপ্রধান সাত দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে সেখানকার মানুষ।
নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন ও বোস্টনে স্থানীয় সময় শনিবার থেকে বিক্ষোভ চলছে। বিমানবন্দরে ভিসাধারী শতাধিক নাগরিক বা শরণার্থীকে আটকে রাখা হয়েছে। ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রে তাদের ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। এর প্রতিবাদে ওয়াশিংটন ডালাস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, লস অ্যাঞ্জেলস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও বিক্ষোভ হয়।
স্থানীয় সময় রবিবার ম্যানহাটনের ব্যাটারি পার্কে বড় ধরনের বিক্ষোভ হয়েছে। নিউইয়র্কের স্ট্যাচু অব লিবার্টির কাছেও বিক্ষোভ হয়েছে।
প্রায় ১০ হাজার মানুষ বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেয়। পরে বিক্ষোভ মিছিলটি ম্যানহাটনে যুক্তরাষ্ট্রের কাস্টমস এবং সীমান্তরক্ষা কার্যালয়ের (বর্ডার প্রোটেকশন অফিস) দিকে যায়।
ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসের কাছে লাফায়েত স্কয়ারে কয়েক হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘ঘৃণা নয়, ভয় নয়, শরণার্থীদের এখানে স্বাগত’ বলে স্লোগান দেয়। এর আগে শনিবার ওয়াশিংটনে শতাধিক নারী ট্রাম্পের এই আদেশের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করে।
শনিবার টুইটার বার্তায় কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো শরণার্থীদের সে দেশে স্বাগত জানান।
গত শুক্রবার পেন্টাগনে এক নির্বাহী আদেশে ট্রাম্প সিরিয়া, ইরাক, ইরান, লিবিয়া, ইয়েমেন, সোমালিয়া ও সুদানের নাগরিক ও শরণার্থীদের ৯০ দিন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
এ সময় এসব দেশের নাগরিকেরা ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবে না। ৯০ দিনের পরও পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সিরিয়ায় নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। এর পাশাপাশি ১২০ দিন পর্যন্ত সব শরণার্থীকে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন ট্রাম্প।
বিক্ষোভের মুখেও নিজের সিদ্ধান্তে অটল ট্রাম্প। শনিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এটা মুসলিমদের ওপর নিষেধাজ্ঞা নয়। গণমাধ্যম মিথ্যে খবর পরিবেশন করছে। তিনি বলেন, এটা ধর্মের ব্যাপার নয়। সন্ত্রাস থেকে দূরে থাকতে এবং দেশকে নিরাপদে রাখতে এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
ইউএসএ টুডে ও রয়টার্স অবলম্বনে
মন্তব্যসমূহ