কানাডার কুইবেকে মসজিদে হামলা চালিয়ে ছয়জনকে হত্যা ও পাঁচজনকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে ২৭ বছর বয়সী ফরাসি বংশোদ্ভুত এক বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রের বিরুদ্ধে।
ওই ছাত্রের নাম আলেকজান্ডার বিসোনেত্তে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, স্থানীয় সময় রোববার ওই হামলার পর পরই ঘটনাস্থল থেকে বিসোনেত্তেসহ দুজনকে আটক করা হয়েছিল। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিসোনেত্তেকে কুইবেক শহর আদালতে হাজির করে কুইবেক ইসলামিক কালচারাল সেন্টারে হামলার জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে। আটক অপরজন মোহাম্মদ খাদির মরোক্কোর অধিবাসী। তিনি ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কানাডার পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত রোববার রাত ৮টায় ওই ভয়াবহ হামলার সময় কুইবেক ইসলামিক কালচারাল সেন্টারে ৫০ জনের বেশি মানুষ অবস্থান করছিল।
অভিযুক্ত গুলি চালালে এদের মধ্যে পাঁচজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। আরেকজন হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান।
এ ঘটনায় আহত হন আরো ১৯ জন। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন আহত অবস্থায় এখনো হাসপাতালে ভর্তি আছেন। আর ওই আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
গত রোববারের ওই হামলার পর থেকেই কুইবেকের পুলিশ টুইট করে ঘটনাটি জানিয়েছিল। এ ছাড়া পুলিশের মুখপাত্র সাংবাদিকদের বলেন, ‘অনেকে হামলা শিকার হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে কয়েকজনের।’
মসজিদের সভাপতি মোহামদ ইয়াংগুই জানান, হামলার সময় তিনি মসজিদের ভেতর ছিলেন না। সন্ধ্যার নামাজের সময় তিনি গুলির শব্দ ও লোকজনের আর্তনাদ শোনেন। কতজন আহত হয়েছেন তা তিনি জানেন না। তাঁদের কুইবেক সিটির বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সম্প্রতি কুইবেক সিটিতে ইসলাম-আতঙ্ক বেড়েছে। ২০১৩ সালে কুইবেকের স্যাগুয়েন অঞ্চলের মসজিদে পুলিশ তদন্ত করে। মসজিদটিতে শূকরের রক্ত ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়।
২০১৫ সালে অন্টারিও প্রদেশে একটি মসজিদে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এর আগের দিনই প্যারিসে বন্দুকধারীরা আত্মঘাতী হামলা চালায়।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর দেশে মুসলিম শরণার্থী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। যদিও আদালত তাঁর আদেশের আংশিক স্থগিত করেন।
নিষেধাজ্ঞার পর যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। পশ্চিমা বিভিন্ন দেশের নেতারা ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করেন।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে না পারা শরণার্থীদের তাঁর দেশে আশ্রয় দেওয়া হবে বলে জানান।
গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের একটি মসজিদ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যায়। তবে এর কারণ জানা যায়নি।
এনটিভি অনলাইন
মন্তব্যসমূহ