শুক্রবার ক্লাসের সিদ্ধান্ত হয়নি, ভুলবশত ফেসবুকে পোস্ট হয়েছিল

শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বরাতে যে বক্তব্যটি শিক্ষামন্ত্রণালয় তাদের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে পোস্ট দিয়েছিল তা ভুলবশত বলে জানিয়েছে তারা। অপর এক পোস্টে আজ রোববার (৫ মে) বিকেলে ৪টার দিকে এই তথ্য জানায় তারা। এই পোস্টে মন্ত্রণালয় আরও বলেছে,  শুক্রবারের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ফেসবুক পেজ থেকে আগের পোস্টটি সরিয়ে নতুন পোস্টে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে ‘শুক্রবার শিক্ষা খোলার বিষয়ের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড পেজে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে দেওয়া তথ্য ভুলবশত পোস্ট করা হয়েছে। এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারের পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’  এর আগে একই পেজে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে বলা হয়েছিল, ‘আমাদের এখন বছরে স্কুলের মোট কর্মদিবস ১৮৫টি। এর মধ্যে ২০ দিন নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নের জন্য রাখা হয়েছে। স্কুলের কর্মদিবস যদি আরও কমে যায়, শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে।’

পাকিস্তানের বিতর্কিত ধর্মীয় নেতা হাফিজ সাঈদ গৃহবন্দি

২০০৮ সালে ভারতের মুম্বাইতে হামলার জন্য ভারত এতদিন যাকে অভিযুক্ত করে আসছিল সে হাফিজ সাঈদকে গৃহবন্দি করেছে পাকিস্তান। মুম্বাইতে সে হামলায় ১৬৬জন নিহত হয়েছিল।
নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়েবার মূল নেতা হাফিজ সাঈদ। পাকিস্তানের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পাকিস্তানের লাহোর শহরে তাকে গৃহবন্দি করা হয়েছে।
মুম্বাই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে হাফিজ সাঈদকে বরাবরই অভিযুক্ত করে আসছে ভারত। আমেরিকাও মনে করে যে সে হামলার পেছনে হাফিজ সাঈদের হাত ছিল। আমেরিকার তরফ থেকে হাফিজ সাঈদকে ধরার জন্য ১০মিলিয়ন ডলার পুরষ্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল।
কিন্তু মুম্বাই হামলার সাথে জড়িত কথা বারবার অস্বীকার করেছে হাফিজ সাঈদ। তার একজন মুখপাত্র অভিযোগ করেছেন, আমেরিকার চাপে পাকিস্তান সরকার হাফিজ সাঈদকে গৃহবন্দি করেছে।
জামাত-উত-দাওয়া নামের পাকিস্তান-ভিত্তিক একটি দাতব্য সংস্থা পরিচালনা করেন মি: সাঈদ। আমেরিকা মনে করে এ দাতব্য সংস্থাটি লস্কর-ই-তৈয়েবার একটি অংশ। আমেরিকার তরফ থেকে সন্ত্রাসী সংগঠনের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে সেখানে লস্কর-ই-তৈয়েবার নাম রয়েছে।
ভারতের অভিযোগ স্বত্বেও হাফিজ সাঈদ এতদিন ধরে পাকিস্তানে অবাধে চলাফেরা করছিলেন। হাফিজ সাঈদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে এনিয়ে উত্তেজনা ছিল। তবে হঠাৎ করে মি: সাঈদকে কেন গ্রেফতার করা হলো সে বিষয়টি এখনো পরিষ্কার নয়।
ভারতের তরফ থেকে মুম্বাই হামলার সাথে হাফিজ সাঈদকে অভিযুক্ত করলে পাকিস্তান এতদিন ধরে বলে আসছিলে যে মি: সাঈদকে বিচারের আওতায় আনা কিংবা ভারতের হাতে তুলে দেবার মতো যথেষ্ট প্রমাণ তার বিরুদ্ধে নেই।
২০০৮ সালে মুম্বাইয়ের একটি পাঁচ তারকা হোটেল, একটি ইহুদি কেন্দ্র এবং ট্রেন স্টেশনে হামলা চালিয়েছিল বন্দুকধারীরা।
হাফিজ সাঈদকে ধরার জন্য আমেরিকা পুরষ্কার ঘোষণা করলেও তিনি পাকিস্তানে একজন 'গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি' হিসেবে অবাধে চলাফেরা করছিলেন এবং ক্রমাগত তীব্র 'ভারত-বিদ্বেষী' বক্তব্য রাখতেন।
২০১৪ সালে বিবিসি'র সাথে এক সাক্ষাৎকারে হাফিজ সাঈদ বলেছিলেন, আফগানিস্তানে ভারতের সহায়তা লাভের জন্য আমেরিকা তাকে টার্গেট করেছে। বিবিসি

মন্তব্যসমূহ