মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিবাসনে বিধিনিষেধ আরোপ করার পর যুক্তরাজ্যে তার রাষ্ট্রীয় সফর বাতিল করার যে দাবি উঠেছে, লন্ডনে ডাউনিং স্ট্রীট তা খারিজ করে দিয়েছে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সূত্রগুলো জানিয়েছে, মি ট্রাম্পের আমন্ত্রণ বাতিল করা হলে তা হয়তো একটি 'জনপ্রিয় পদক্ষেপ' হবে, কিন্তু সেই আমন্ত্রণ ইতিমধ্যেই গৃহীত হয়েছে এবং এখন সেটা বাতিল করা হলে 'সব কিছু নষ্ট হয়ে যাবে'।
ব্রিটেনে বিরোধী লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন বলেছেন প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে যদি মি ট্রাম্পের ওই সফর পিছিয়ে দিতে না-পারেন তাহলে তিনি দেশের মানুষের কাছে ব্যর্থ প্রতিপন্ন হবেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফর বাতিল করার দাবিতে একটি পিটিশনে শনিবার থেকে এখনও পর্যন্ত ৯০ হাজারেরও বেশি মানুষ সই করেছেন।
ব্রিটেনের নিয়ম অনুযায়ী, কোনও পিটিশনে এক লক্ষের বেশি সই পড়লেই তা নিয়ে বিতর্ক প্রয়োজন কি না, পার্লামেন্টকে সেটা বিবেচনা করতে হয়।
মি ট্রাম্পের এই যুক্তরাজ্য সফরের কথা ঘোষণা করা হয় গত সপ্তাহেই, যখন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে রাষ্ট্রীয় সফরে আমেরিকায় গিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেন।
সেই সফরের কোনও নির্দিষ্ট দিনক্ষণ স্থির করা হয়নি, তবে ধারণা করা হচ্ছে এ বছরেই আরও পরের দিকে মি ট্রাম্প লন্ডনে আসবেন।
কিন্তু এর পর গত শুক্রবার মি ট্রাম্প একটি বিতর্কিত নির্বাহী আদেশে সই করেন, যার ফলে মার্কিন শরণার্থী কর্মসূচী চার মাসের জন্য থমকে যায়।
এ ছাড়াও তিনি সব সিরিয়ান শরণার্থীকে আমেরিকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন, সাতটি মুসলিম-প্রধান দেশের নাগরিকদের আমেরিকায় ঢোকা আপাতত বন্ধ করে দেন।
এই সব পদক্ষেপ কার্যকর করা শুরু হলে সারা বিশ্ব জুড়ে তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ শুরু হয়ে যায়। এর পরই যুক্তরাজ্যে মি ট্রাম্পের আমন্ত্রণ বাতিল করারও দাবি ওঠে।
তবে ডাউনিং স্ট্রীটের একটি সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে, "আমেরিকা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক মিত্র। আমাদের যা করার, তা লম্বা সময়ের কথা ভেবেই করতে হবে।" বিবিসি
মন্তব্যসমূহ