হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

পাকিস্তানে কোরআনের ৫০ লাখেরও অধিক পুরনো কপির সংরক্ষণ

পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কোয়েটায় একটি পাহাড়ে পবিত্র কোরআনের ৫০ লাখেরও অধিক পুরনো কপির সংরক্ষণ করা হয়েছে।

দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কোয়েটায় অবস্থিত অপার্থিব ধনভান্ডারে পূর্ণ ওই পাহাড়ে সারাদেশ থেকে পুরাতন ও ছেঁড়ে-ফাটা কোরআনের পান্ডুলিপি জমা নেয়া হয়।

জমা হওয়া পান্ডুলিপির তুলনামূলকভাবে অক্ষত কিংবা সংস্কার করলে পাঠের উপযোগী হবে।


সেগুলো সেলাই ও বাঁধাই করে পাঠের উপযোগী করা হয়।

অন্যগুলোকে অপবিত্রতা ও অমর্যাদা থেকে রক্ষা করতে সমাহিত করা হয়।

‘জাবালে নুর’ নামে পরিচিত ওই পাহাড়ে ছোট ছোট অনেক খোপ রয়েছে। খোপগুলো দেখতে অনেকটা মৌচাকের মতো। এগুলো পরিপূর্ণ হয়েছে বাক্স ভর্তি কোরআনে কারিমের পুরনো পান্ডুলিপি দিয়ে। পাহাড়টি দেখতে হাজার হাজার দর্শনার্থী আসেন। পাহাড়টির রক্ষণাবেক্ষণকারীরা জানান, এখানে এমন কিছু কোরআনের কপি রয়েছে যেগুলো ৬০০ বছরেরও বেশি পুরনো।

জাবালে নূরের পরিচালক হাজী মুজাফফর আলী বলেন, ‘আমরা কমপক্ষে ৫০ লাখেরও বেশি কোরআনের কপি এখানে সমাহিত করেছি।’

কোয়েটা পর্বতকে কোরআনবেষ্টিত করার পেছনের মানুষটির নাম আবদুস সামাদ লাহিরি। বর্তমানে তার বয়স আশির কাছাকাছি। আগে ব্যবসা করতেন। বর্তমানে ছেলেদের কাছে ব্যবসা সমর্পণ করে পর্বতেই সময় কাটান বেশি।

কোরআন সংরক্ষণের প্রতি তার এমন আগ্রহ জন্মায় ১৯৫৬ সালে। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তার বসবাসের বাসার চারপাশ ছিল ঔষধ এবং সংবাদপত্রে ঘেরা। তিনি একটি পত্রিকা নেন যেটাতে পবিত্র কাবাঘরের একটি ছবি ছিল, এটা তার এক বন্ধুর গাড়ির মেঝেতে পড়া অবস্থায় পেয়েছেন। তিনি সেটা তুলে নেন এবং প্রতিজ্ঞা করেন যে, আজীবন তিনি পবিত্র সব ছবি এবং বাণীর রক্ষণাবেক্ষণে কাজ করে যাবেন।

১৯৯২ সালে আবদুস সামাদ লাহিরি ও তার ভাই আবদুর রশিদ কোয়েটার পাহাড়ি এলাকায় ইজারা নিয়ে পাথর ভাঙার ব্যবসা শুরু করেন। কিন্তু তারা দেখলেন ইজারাকৃত সম্পত্তির খুব অল্প জায়গাই ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহৃত হয়। তখন তিনি বলেন, ‘আমি এ পাহাড়টিকে কোরআনের পান্ডুলিপি সমাহিত করার কাজে ব্যবহার করবো। সেই সময় থেকে পবিত্র কোরআনের পুরনো কপি সংরক্ষণের কাজ করে আসছেন তিনি।

জিও নিউজ উর্দু অবলম্বনে।

মন্তব্যসমূহ