হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

মসজিদে গুলি মুসলিমদের ওপর বর্বর সন্ত্রাসী হামলা: ট্রুডো

কানাডার কুইবেক সিটি ইসলামিক কালচারাল সেন্টারে রবিবার মাগরিবের নামাজের সময় বন্দুকধারীর গুলিতে ৬ জন নিহতের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এটিকে তিনি মুসলমানদের উপর বর্বর সন্ত্রাসী হামলা বলে মন্তব্য করেছেন।

রবিবার ৩ মুখোশধারীর এলোপাথারি গুলিতে ছয়জন নিহত হওয়া ছাড়াও আহত হয়েছে অন্তত ৮ জন। এসময় মসজিদটির ভেতরে অন্তত ৪০ জন মুসুল্লি উপস্থিত ছিলেন।

এঘটনায় সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।


প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এক বিবৃতিতে বলেন, ‘উপাসনা ও আশ্রয় কেন্দ্র মুসলমানদের ওপর এই সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানাই।’


তিনি বলেন, ‘মুসলিম-কানাডীয়রা আমাদের জাতীয় জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং আমাদের সম্প্রদায়, শহর ও দেশে এই বর্বর হামলার কোনো স্থান নেই।’

এক টুইটে কানাডিয়ান পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘গুলির ঘটনার পর মসজিদ এলাকায় নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে এবং সেখান থেকে মুসুল্লিদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তদন্ত কাজ অব্যাহত আছে।’ তবে তারা ঘটনার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায়।

এমন এক সময়ে এই হামলার ঘটনা ঘটল যখন কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো ঘোষণা দিয়েছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রত্যাখ্যাত উদ্বাস্তুদের তার দেশ স্বাগত জানাবে।

গত শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দেশে শরণার্থী কর্মসূচি স্থগিত করেন এবং জাতীয় নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ সাতটি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

কানাডিয়ান ফেডারেল লিবারেল পাটির আইনপ্রণেতা গ্রেগ ফারগুস এক টুইটে বলেন, ‘এটি একটি সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড এবং গত কয়েক বছর ধরে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছাড়ানোর ফল। তাদের বিরুদ্ধে ঘৃণ্য বক্তৃতার পরিণতি।’

কানাডিয়ান প্রভিন্স প্রধান, ফিলিপ কুয়িলার্ড এক টুইটার বার্তা এটিকে একটি সন্ত্রাসী কার্যকলাপ মন্তব্য করেন।

প্রাদেশিক মুসলিম সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আমরা আপনাদের সঙ্গে রয়েছি। আপনারা নিরাপদ। আমাদের দেশে আপনাদের আমরা স্বাগত জানাই এবং আমরা সবাই কুইবেকার। একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়ে তুলতে আমাদের একসঙ্গে কাজ চালিয়ে যেতে হবে।’

মসজিদের সভাপতি মোহাম্মদ ইয়ানগুই বলেন, ‘এখানে কেন এমন হামলা হলো? এটা বর্বরতা।’

মসজিদের ফেসবুক পেজে এক বিবৃতি সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে বলা হয়েছে, ‘তদন্তের আগে কোনো ধরনের গুজবে কান না প্রাথমিক ফলাফলের জন্য অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। পরিস্থিতি খুবই গুরুতর। আল্লাহ আমাদেরকে ধৈর্য ধরার তওফিক দিন।’

সূত্র: রয়টার্স

মন্তব্যসমূহ