হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

এবার ইরাক থেকে মার্কিন নাগরিকদের বহিষ্কার দাবি

সাত মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র সফরে ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার পর এবার পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে ইরাকে। দেশটির শিয়া ধর্মীয় নেতা মুকতাদা আল-সদর দাবি করেছেন, পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ইরাক থেকে মার্কিন নাগরিকদের অবশ্যই বহিষ্কার করতে হবে।

রবিবার নিজের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “আপনার দেশের নাগরিকরা ইরাক ও অন্য দেশে স্বাধীনভাবে ঢুকবে; আর এসব দেশের নাগরিকরা আমেরিকায় ঢুকতে পারবে না! এটা অবশ্যই ঔদ্ধত্যপূর্ণ নীতি। যদি তাই হয় তাহলে এসব দেশ থেকে আপনার নাগরিকদের আপনি নিয়ে যান।”

এদিকে, ইরাকি নাগরিকদের ওপর অন্যায্য ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় দেশটির আমেরিকার বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইরাকি পার্লামেন্টের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটি। এক বিবৃতিতে কমিটি বলেছে, সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী লড়াইয়ে সামনের কাতারে রয়েছে ইরাক। অথচ সেই দেশের নাগরিকদের সন্ত্রাসী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এটা হতে পারে না; এটা অন্যায়। সেক্ষেত্রে ইরাক সরকারকে অবশ্যই পাল্টা ব্যবস্থা নিতে হবে।
 আরো পড়ুন: মার্কিন নাগরিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত ইরানের
এর আগে ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে তেহরান জানিয়েছে, এবার ইরানও তাদের দেশে সব মার্কিন নাগরিকের  প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করে দেবে।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে গোটা ইসলামি বিশ্ব এবং সুনির্দিষ্টভাবে ইরানকে অবমাননা করা হয়েছে। সূত্র: প্রেস টিভি।

মন্তব্যসমূহ