বাংলাদেশে সাড়ে পাঁচশো পর্ণ-সাইট বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বা বিটিআরসি জানিয়েছে ওয়েব সাইট যাচাইয়ের একটি কমিটির পর্যালোচনার ভিত্তিতেই এমন নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
তরুণ প্রজন্মের সামাজিক অবক্ষয়ের বিষয় উল্লেখ করে এরই মধ্যে একটি তালিকা বাংলাদেশের বিভিন্ন ইন্টারনেট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে পাঠানো হয়েছে।
তালিকাভুক্ত সাইটগুলোর মধ্যে দেশের অভ্যন্তরে পরিচালিত পর্ন সাইটগুলোই বেশি।
তবে কয়েকটি বিদেশি সাইটও তালিকায় রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশে এসব পর্ণ সাইট বন্ধ করা কতটা সম্ভব?
এমন প্রশ্নের জবাবে ইউনিভার্সিটি অব ডাবলিনের গবেষক নাসিম মাহমুদ বিবিসিকে বলেন বাংলাদেশে যে পদ্ধতিতে পর্ণ সাইটগুলো বন্ধের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে সেটা খুব একটা কাজে দেবেনা।
তিনি বলেন তালিকা ধরে বন্ধ করা কোন কাজ দেবেনা। কারণ অন্য নামে আবার চলে আসবে। পরিবর্তন করতে হবে ব্যবহারকারীদের তরফ থেকেই। কোন কোন ক্ষেত্রে কিছু ডিভাইস ব্যবহার করে সুফল পাওয়া যেতে পারে।
মিস্টার মাহমুদ বলেন বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারের তুলনায় পর্ণ সাইটের ব্যবহার অনেক বেশি। সে কারণে পর্ণগ্রাফীর পেছনেই ব্যান্ডউইথের বিরাট একটা অংশ চলে যাচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন মানুষের একটা বড় অংশের আগ্রহ আছে আর পেছনে রয়েছে বিরাট ব্যবসা। কিন্তু বন্ধ করা সহজতর হবেনা।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশে বন্ধ হচ্ছে সাড়ে পাঁচশো পর্ন-সাইট
"সুনির্দিষ্ট কিছু সাইটের ইউআরএল বন্ধ করে পর্ণ সাইট খুব একটা বন্ধ করা যাবেনা। এভাবে ফিল্টারিং করে বেশি দুর এগুনো যাবেনা। বিকল্প পথে বন্ধ করে দেয়া সাইটগুলোতে প্রবেশ করা সম্ভব হতে পারে"।
তিনি জানান পশ্চিমা বিশ্বে পর্ণ সাইট গুলো কম বয়সীদের হাতে যেনো না যায় সেজন্য অনেক পদক্ষেপ রয়েছে ।
এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাতকারে বিটি আরসি চেয়ারম্যান শাজাহান মাহমুদ বলেছেন তারা তিন পর্যায়ে পর্ণ সাইট বন্ধের চেষ্টা করছেন।
"গেটওয়েতে ওয়েবসাইট ব্লক করা, ইউজার লেবেলে আইএসপি গুলো চেষ্টা করছে আর মোবাইল অপারেটরগুলোকে বলা হয়েছে যাতে কেউ ফোনে না পায়"।
তবে তিনি স্বীকার করে নেন যে প্রক্সি সার্ভারের মাধ্যমে কেউ পর্ণ সাইটে যেতে পারবে আর সেজন্য মনিটরিংটা অব্যাহত রাখবে বিটিআরসি।
বিবিসি
মন্তব্যসমূহ