জয়ের লক্ষ্য মাত্র ২৩৭ রান। হেসেখেলেই সে লক্ষ্যে পৌঁছে যাওয়ার কথা নিউজিল্যান্ডের। বাংলাদেশ আশা খুঁজেছিল মুস্তাফিজুর রহমানের দিকে তাকিয়ে। নিজের প্রথম ওভারে একটি উইকেট তুলে নিয়ে সেই আশা জোরদারও করেছিলেন বাঁহাতি এই পেসার। নিজের পরের ওভারে পেয়ে যেতে পারতেন আরেকটি উইকেট। কিন্তু প্রথম স্লিপে নেইল ব্রুমের সহজ একটি ক্যাচ মিস করেছেন ইমরুল কায়েস।
শেষ পর্যন্ত ব্রুমকে সাজঘরে ফিরিয়েছেন মুস্তাফিজই। কিন্তু শূন্য রানে জীবন পেয়ে ৯৭ রানের ইনিংস খেলে নিউজিল্যান্ডের জয়টা ততক্ষণে নিশ্চিতই করে ফেলেছিলেন ব্রুম। ব্যাটিং বিপর্যয় আর ক্যাচ মিসের খেসারত দিয়ে তৃতীয় ওয়ানডে বাংলাদেশ হেরে গেছে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে। এড়াতে পারেনি হোয়াইটওয়াশের লজ্জা। গত দুটি সফরের মতো এবারও নিউজিল্যান্ডে গিয়ে সবকটি ওয়ানডে হারের হতাশায় ডুবতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
নিজের প্রথম ওভারেই মুস্তাফিজ সাজঘরে ফিরিয়েছিলেন কিউই ওপেনার টম লাথামকে। এক ওভারে পরে আরেক ওপেনার মার্টিন গাপটিলও স্বেচ্ছা অবসর নিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়ে। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে ইমরুল প্রথম স্লিপে ব্রুমের ক্যাচটা মিস না করলে ভিন্ন রকমও হতে পারত ম্যাচের চিত্র। কিন্তু একবার জীবন পেয়ে বাংলাদেশের বোলারদের নাজেহাল করে ছেড়েছেন ব্রুম। কিউই অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসনকে সঙ্গে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে তিনি গড়েছিলেন ১৭৯ রানের জুটি। ৩৫তম ওভারে এ জুটিও ভেঙেছেন মুস্তাফিজ। শতক থেকে মাত্র ৩ রান দূরে থাকার সময় আউট হয়ে গেছেন ব্রুম।
কিন্তু এই উইকেটও স্বস্তি ফেরাতে পারেনি বাংলাদেশ শিবিরে। কারণ, ততক্ষণে জয় প্রায় নিশ্চিতই হয়ে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ডের। বাকি কাজটুকু অনায়াসেই সেরে ফেলেছেন উইলিয়ামসন ও জেমস নিশাম। ৯৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন উইলিয়ামসন। নিশাম অপরাজিত ছিলেন ২৮ রান করে। ৫২ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে গেছে স্বাগতিকরা।
বাংলাদেশের পক্ষে বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন শুধুই মুস্তাফিজ। ৯.২ ওভার বোলিং করে ৩২ রান দিয়ে নিয়েছেন দুটি উইকেট। বাংলাদেশের আর কোনো বোলারই পাননি উইকেটের দেখা। সবাই দিয়েছেন ওভারপ্রতি পাঁচের বেশি রান।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। উদ্বোধনী জুটিতেই ১০২ রান জমা করেছিলেন তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস। কিন্তু এরপর আকস্মিক ব্যাটিং বিপর্যয়ের ফলে সংগ্রহটা বড় করতে পারেনি মাশরাফি বাহিনী। ১৭৯ রানে সাত উইকেট হারানোর পর শেষ পর্যায়ে নুরুল হাসান সোহানের ৩৯ বলে ৪৪ রানের লড়াকু ইনিংসে ভর করে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে জমা হয়েছে ২৩৬ রান। ইমরুল কায়েসও খেলেছেন ৪৪ রানের ইনিংস। আর দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৯ রানের ইনিংসটি এসেছে তামিম ইকবালের ব্যাট থেকে।
এনটিভি
মন্তব্যসমূহ