শুক্রবার ক্লাসের সিদ্ধান্ত হয়নি, ভুলবশত ফেসবুকে পোস্ট হয়েছিল

শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বরাতে যে বক্তব্যটি শিক্ষামন্ত্রণালয় তাদের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে পোস্ট দিয়েছিল তা ভুলবশত বলে জানিয়েছে তারা। অপর এক পোস্টে আজ রোববার (৫ মে) বিকেলে ৪টার দিকে এই তথ্য জানায় তারা। এই পোস্টে মন্ত্রণালয় আরও বলেছে,  শুক্রবারের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ফেসবুক পেজ থেকে আগের পোস্টটি সরিয়ে নতুন পোস্টে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে ‘শুক্রবার শিক্ষা খোলার বিষয়ের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড পেজে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে দেওয়া তথ্য ভুলবশত পোস্ট করা হয়েছে। এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারের পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’  এর আগে একই পেজে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে বলা হয়েছিল, ‘আমাদের এখন বছরে স্কুলের মোট কর্মদিবস ১৮৫টি। এর মধ্যে ২০ দিন নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নের জন্য রাখা হয়েছে। স্কুলের কর্মদিবস যদি আরও কমে যায়, শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে।’

রোহিঙ্গা ইস্যু: জাতিসংঘের জরুরি হস্তক্ষেপ চেয়ে ১৩ নোবেলজয়ীসহ ২২ জনের খোলা চিঠি

রোহিঙ্গাদের উপর চলমান নির্যাতন বন্ধে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে জরুরী হস্তক্ষেপ চেয়ে ১৩ নোবেলজয়ীসহ বিশ্বের ২২ জন খ্যাতনামা নাগরিক খোলা চিছি দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতিকে দেয়া ওই চিঠিতে মায়ানমারে হত্যা, অগ্নিসংযোগ এবং ধর্ষণের মতো পাশবিক নির্যাতন বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

চিঠিতে জাতিসংঘের মহাসচিবকে জরুরি ভিত্তিতে মায়ানমার পরিদর্শনের আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া বর্তমানে দেশটিতে ক্ষমতায় থাকা শান্তিতে নোবেল জয়ী নেত্রী অং সান সু চির কড়া সমালোচনা করা হয়।


চিঠিতে সাক্ষরকারী বিশিষ্ট এই নাগরিকদের মতে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরো বেশি সোচ্চার হতে হবে। কারণ রুয়ান্ডার পর বিশ্ব নেতারা বলেছিলেন, আর কখনো নয়। এখনই ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হলে মানুষ গুলি খেয়ে না মরলেও অনাহারে মারা যাবে। এতে বিশ্ব সম্প্রদায় মানবতাবিরোধী এসব অপরাধের নিরব দর্শক হয়ে থাকবে।

ড. ইউনূস ছাড়াও আরো যারা চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন, তারা হলেন- শান্তিতে নোবেল জয়ী আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটু, বেটি উইলিয়াম্স, জোডি উইলিয়াম্স, তাওয়াক্কল কারমান, মালালা ইউসুফজাই, অসকার অ্যারিয়াস, মেইরিড মাগুইর, হোসে রামোস-হরতা, শিরিন এবাদী, লেইমাহ বোয়ি, স্যার রিচার্ড জে. রবার্টস, চিকিৎসা শাস্ত্রে নোবেল জয়ী এলিজাবেথ ব্ল্যাকবার্ন এবং স্যার রিচার্ড জে. রবার্টস।

এছাড়াও ছিঠিতে সাক্ষর করেন, ইতালির সাবেক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রোমানো প্রদি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমা বোনিনো, এসডিজি সমর্থক রিচার্ড কার্টিস, লিবীয় নারী অধিকার প্রবক্তা আলা মুরাবিত, দি হাফিংটন পোস্টের সম্পাদক অ্যারিয়ানা হাফিংটন, ব্যবসায়ী নেতা পল পোলম্যান, স্যার রিচার্ড ব্র্যানসন, জোকেন জাইট্জ এবং মানবাধিকার কর্মী কেরী কেনেডী। আরটিএনএন

মন্তব্যসমূহ