গাজার আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত ৭৩

  যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার উত্তরে বেইত লাহিয়ার একটি আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর  হামলায় কমপক্ষে ৭৩ জন নিহত হয়েছে। গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি এই তথ্য দিয়েছে। তবে ইসরায়েল বলেছে, গাজার একটি ‘সন্ত্রাসী’ লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে। খবর এএফপির। সিভিল ডিফেন্স এজেন্সির মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেন, ‘গাজার উত্তরে বেইত লাহিয়ার আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর হামলার পর আমাদের এজেন্সির কর্মীরা ৭৩ জন শহীদের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও অনেকে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ধ্বংসস্তুপের নিচে এখনও বেশ কয়েকজন শহীদের মরদেহ রয়ে গেছে।’ মাহমুদ বাসাল জানান, শনিবার (১৯ অক্টোবর) দিনের শেষ ভাগে ইসরায়েলের চালানো ওই হামলায় বেশ কয়েকটি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাজার সরকারি গণমাধ্যম মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত করে জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নারী ও শিশু রয়েছে। হামলাটি চালানো হয় একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায়। ইসরায়েলের সামরিক কর্তৃপক্ষ বলেছে, প্রতিরক্ষা বিভাগের (আইডিএফ) কাছে আসা তথ্যের সঙ্গে হতাহতের সংখ্যার মিল নেই। তবে, এ বিষয়ে কোনো বিস্তারিত বিবরণও তারা দেয়নি বা কাদের লক্ষ্য করে ওই হামলা চালানো হয়েছ

সন্তানের অপরাধে পিতামাতা ক্ষমা চান যে দেশে

দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা প্রার্থনা জাপানে খুব সাধারণ একটি ঘটনা।
নানা কারণে মানুষ, কর্তৃপক্ষ, প্রতিষ্ঠান আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে ক্ষমা প্রার্থনা করে থাকে।
কিন্তু ২০১৬ সালে দেখা গেছে অভিনব এক ঘটনা যাতে সন্তানের অপরাধের জন্যেও পিতামাতারা অনুষ্ঠান করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
বিভিন্ন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেও জাপানে ক্ষমা চাওয়ার সংস্কৃতি চালু রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই ক্ষমা প্রার্থনাকে জাপানি ভাষায় বলা হয় শাজাই কাইকেন।
প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিরা সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়ে সমবেত লোকজনের সামনে দুঃখ প্রকাশ করে বিবৃতি পাঠ করেন এবং মাথা নত করে তাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
কিন্তু এরকম অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পিতামাতাকে তাদের সন্তানের জন্যে ক্ষমা চাওয়ার ঘটনার কথা খুব একটা শোনা যায় না।
গত অগাস্ট মাসে খুব আবেগঘন এক বক্তব্য দিয়ে তার ২২ বছর বয়সী ছেলের কৃতকর্মের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন অভিনেত্রী আতসুকু তাকাহাতা।
যৌন হামলার অভিযোগে তার ছেলেকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিলো।
পরে কোন ধরনের অভিযোগ না এনেই পুলিশ তাকে ছেড়ে দিয়েছে।
তবে আইন ও আদালতের এসব প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগেই তার মা প্রকাশ্যে এক অনুষ্ঠান করে বলেছেন, সন্তানের কথিত অপরাধের জন্যে তারও আংশিক দায় রয়েছে।
এর আগে ২০১৩ সালে টেলিভিশনের জনপ্রিয় এক উপস্থাপক তার ছেলে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন।


শুধু তাই নয়, টেলিভিশনে করা তার শো থেকেও তিনি সরে দাঁড়িয়েছিলেন।
চুরি করার চেষ্টার অভিযোগে তার সন্তানকে গ্রেফতার করা হয়েছিলো।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন, "আমি মনে করি একজন পিতা হিসেবে আমার নৈতিক কিছু দায়িত্ব রয়েছে।"
তবে এই রীতি যে শুধু সুপরিচিত ব্যক্তিদের মধ্যেই সীমিত তা নয়। জুলাই মাসে মানসিক প্রতিবন্ধীদের একটি আশ্রমে ছুরি মেরে ১৯ জনকে হত্যা করার ঘটনায় খুনির পিতা তার কর্মস্থলে এক বিবৃতি দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
এর কয়েক বছর আগে, ২০০৮ সালে, ২৫ বছর বয়সী এক তরুণ যখন ব্যস্ত একটি রাস্তায় সাতজনকে হত্যা করে, তারপর হত্যাকারীর পিতা তার বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে সন্তানের অপরাধের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।
"আমাদের ছেলে গুরুতর একটি অপরাধ করেছে। এই ঘটনায় যারা নিহত ও আহত হয়েছেন তাদের পরিবারের কাছে আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি," ওই পরিবারের পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে এভাবেই ক্ষমা চাওয়া হয়।
তারপর তারা যখন মাথা নত করে ক্ষমা চান তখন সাংবাদিকরা সেই ছবি তুলে পত্রিকাতেও প্রকাশ করেছেন।বিবিসি

মন্তব্যসমূহ