হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

রোহিঙ্গা শরণার্থী দেখতে কক্সবাজার যাচ্ছেন ইন্দোনেশিয়ার মন্ত্রী

রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে ইয়াঙ্গনে আসিয়ান দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক শেষে সোমবার রাতেই ঢাকায় আসছেন ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি।

পরে মায়ানমারে নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেখতে কক্সবাজারের উখিয়া যাবেন তিনি।

মঙ্গলবার সকাল ৮টায় পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হকের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাড়ে ৮টায় তার সঙ্গেই হেলিকপ্টারযোগে উখিয়া যাবেন মারসুদি। এরপর সন্ধ্যায় ফিরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার বৈঠকের কথা রয়েছে।


বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযানে বহু রোহিঙ্গাকে হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগের পর এ নিয়ে বিস্ময়কর নীরবতা দেখানোয় শান্তিতে নোবেল বিজয়ী সু চির বিরুদ্ধে বিস্তর সমালোচনা হচ্ছে।

প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলো থেকে তৈরি হয়েছে দারুণ চাপ, বিশেষ করে মালয়েশিয়া সরকার সরাসরি অভিযোগ করেছে, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের উপর গণহত্যা চালানো হয়েছে এবং এজন্য দায়ী ইয়াঙ্গনের সরকার।

এরকম প্রেক্ষাপটে সু চি সোমবার সেখানে আসিয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক ডেকেছেন শুধুমাত্র রোহিঙ্গা ইস্যুতে কথা বলার জন্য।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকায় পৌঁছবেন মারসুদি।

সীমান্তবর্তী রাষ্ট্র হওয়ার কারণে রাখাইন প্রদেশে চলমান সহিংসতার প্রভাব বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে পড়ছে।

প্রায় প্রতিদিনই প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বাংলাদেশে আসছে। অনেককেই ফিরিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশী সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি।

তারপরও বিজিবির নজরদারি এড়িয়ে যে পরিমাণ শরণার্থী বাংলাদেশে প্রবেশ করে এখন অবস্থান করছে, জাতিসংঘের হিসেবে তার সংখ্যা হবে অন্তত ২৭ হাজার। বিবিসি 

আরো পড়ুন:
রোহিঙ্গা ইস্যুতে ঢাকায় আসছেন ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী

মন্তব্যসমূহ