হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

'মাদ্রাসা সনদের স্বীকৃতি সরকারকে দিতেই হবে'

দেশের কওমী মাদ্রাসাগুলোর নিজস্ব বৈশিষ্ট্য অক্ষুন্ন রেখে তাদের দেয়া সনদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেয়ার দাবি জানিয়েছে ইসলামপন্থী একটি সংগঠন। তারা সরকারি কোনো নিয়ন্ত্রণ মেনে নেবেন না বলে জানিয়েছেন।

সরকারপন্থী হিসেবে পরিচিত শোলাকিয়ার ইমাম মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ বলেছেন, ‘দাবি আদায়ের জন্য নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্য ঘুচিয়ে হেফাজতে ইসলামের প্রধান মাওলানা আহমদ শফির নেতৃত্বেই সবাইকে কাজ করতে হবে’।

বাংলাদেশে কওমী মাদ্রাসার সংখ্যা কত তার আনুষ্ঠানিক কোনো পরিসংখ্যান পাওয়া কঠিন। আবার এসব মাদ্রাসাগুলোকে কেন্দ্র করে ইসলামপন্থী নেতাদের মধ্যে বিভেদের সূত্র ধরে ব্যক্তি উদ্যোগেই গড়ে উঠেছে অন্তত পাঁচটি বোর্ড। এগুলোর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে প্রায় ৫০ থেকে ৭০ হাজার মাদ্রাসা।


এ ধরনের একটি বোর্ড বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা বোর্ড যেটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বর্তমানে চরমোনাই পীর হিসেবে পরিচিত মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের প্রয়াত পিতা।

এ বোর্ডের প্রতিনিধি সম্মেলনে রেজাউল করীম বলেছেন, ‘মাদ্রাসাগুলো থেকে শিক্ষার্থীদের যে সনদ দেয়া হয় তার স্বীকৃতি দিতেই হবে রাষ্ট্রকে’।

দেশজুড়ে ব্যক্তি বা স্থানীয় উদ্যোগে স্থাপিত কওমী মাদ্রাসাগুলোর সিলেবাস কিংবা প্রশাসনিক বা আর্থিক ব্যবস্থাপনা কোনো কিছুতেই সরকারি কোনো নজরদারি কিংবা তত্ত্বাবধানের সুযোগ নেই।

সাম্প্রতিক সময়ে হেফাজতে ইসলামের প্রধান মাওলানা আহমদ শফির নেতৃত্বে ইসলামপন্থীদের একটি কমিশনও হয়েছে যারা সরকারের সাথে আলোচনা শুরু করেছে।

আহমদ শফির ঘনিষ্ঠ মুফতি মোহাম্মদ ফয়জুল্লাহ বলছেন, ‘বাংলাদেশের কওমী মাদ্রাসাগুলো ভারতের দেওবন্দ মাদ্রাসাকে অনুসরন করে। তারা সিলেবাস, পরিচালনা থেকে শুরু করে সব বিষয়েই স্বাধীনভাবেই কাজ করতে চায়’।

চরমোনাই পীর আয়োজিত আজকের সম্মেলনে অংশ নিয়ে সংহতি প্রকাশ করেছেন সরকারপন্থী হিসেবে পরিচিত শোলাকিয়ার ইমাম মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ।

অনুষ্ঠানে তিনি জানান, ‘বিষয়টি নিয়ে মাওলানা আহমদ শফীর নেতৃত্বে সরকারের সাথে যে আলোচনা চলছে তাতে বিভেদ ভুলে সব পক্ষকেই সম্পৃক্ত হতে হবে’।

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদও বলছেন, ‘মাদ্রাসাগুলোর সনদের স্বীকৃতির বিষয়ে সরকারের কোনো আপত্তি নেই। আমাদের দেশে অনেক মাদ্রাসা আছে। অনেক বোর্ডও বিভক্ত। আমরা মনে করি এটা সার্বিক শিক্ষার অঙ্গ এবং এটাকে এগিয়ে নেয়া দরকার। তবে কওমী মাদ্রাসার সার্টিফিকেটের স্বীকৃতি দেয়া জরুরী। তারা যেভাবে চাইবেন সেভাবে দিতে আমরা রাজী আছি’।

মাদ্রাসাগুলোতে কি শিক্ষা দেয়া হচ্ছে বা এর প্রশাসনিক ও আর্থিক ব্যবস্থাপনার বিষয়ে সরকারের কোনো ভূমিকা থাকবে না নাকি বর্তমান ধারাতেই কওমী মাদ্রাসাগুলো পরিচালিত হওয়াকে সরকারও মেনে নেবে-এসব বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী কোনো মন্তব্য করতে রাজী হননি।

সূত্র: বিবিসি

মন্তব্যসমূহ