হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

খেলা-জগৎকে নাড়িয়ে দেওয়া ভয়াবহ কয়েকটি বিমান দুর্ঘটনা


মাঝ আকাশে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বলিভিয়া থেকে কলম্বিয়া যাওয়ার সময় মাঝ আকাশে একটি যাত্রিবাহী বিমান ভেঙে পড়ে। ৭২ জন যাত্রীর মধ্যে ছিল ব্রাজিলের একটি ফুটবল টিমও। কোপা সুদামেরিকা ফাইনাল ম্যাচ খেলতে যাচ্ছিল ব্রাজিল ফুটবল টিম ক্যাপিকোয়েন্স। এখনও পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা জানা যায়নি। এর আগেও বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাতে হয়েছে স্পোর্টসম্যানদের। ফুটবল, হকি, বক্সিং, রাগবির মতো বিভিন্ন স্পোর্টসের খেলোয়াড়রা অকালে প্রাণ হারিয়েছিলেন বিমান দুর্ঘটনায়। এক বার ইতিহাসের পাতা উল্টে দেখে নেওয়া যাক কবে কোথায় এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে।


৮ নভেম্বর,১৯৪৮- চেকোস্লোভাকিয়া জাতীয় আইস হকি টিম বিমান দুর্ঘটনায় পড়েছিলো ফ্রান্সের দিপ্পেতে। ৬ জন খেলোয়ার প্রাণ হারান।

৪ মে ১৯৪৯- ইতালীয় ফুটবল ক্লাব টরিনো এসির ২৩ জন্য খেলোয়ার মারা যান ইতালির তুরিনে। অ্যাভিও লাইনি ইতালিয়ান বিদাম দুর্ঘটনায় প্রাণ যায় তাদের।

৫ জানুয়ারী,১৯৫০- রাশিয়ার ইয়েক্যাটারিনর্গে ভিভিএস মস্কো আইস হকি টিমের সবাই প্রাণ হারান বিমান দুর্ঘটনায়। ১১ জন ছিলেন ওই টিমে।

৯ ডিসেম্বর, ১৯৫৬-  কানাডার একটি ফুটবল টিমের ৫ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন কানাডার চিলিওয়াকের কাছে বিমান দুর্ঘটনায়।
৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৮- ক্রীড়াজগতে আরও একটি কালো দিন। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড টিমের ৮ খেলোয়ারসহ দলের ৩ সদস্য বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। ঘটনাটি ঘটে জার্মানির মিউনিখে।

১৬ জুলাই ১৯৬০- ডেনমার্কের কোপেনহাগেন একটি বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ডেনমার্কের ফুটবল অলিম্পিকের ৮ খেলোয়াড়।

২৯ অক্টোবর ১৯৬০- ক্যালিফোর্নিয়া পলিটেকনিক স্টেট ইউনিভার্সিটির ১৭ জন ফুটবল খেলোয়াড় বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের টলেডোতে।

২৬ সেপ্টেম্বর ১৯৬৯- বলিভিয়ার ফুটবল ক্লাবের দ্য ষ্ট্রংগেস্ট টিমের ১৯জন মারা গিয়েছিলেন।

১৪নভেম্বর ১৯৭০- আমেরিকান ফুটবল টিম মার্শাল ইউনিভার্সিটির ৪৫ জন খেলোয়াড় মারা যান। ঘটনাটি ঘটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েন কান্ট্রি।

২৭এপ্রিল ১৯৯৩- জাম্বিয়ার জাতীয় ফুটবল টিমের সবাই মারা গিয়েছিলেন জাম্বিয়ান বিমান দুর্ঘটনায়। টিমে ছিলেন ২২ জন খেলোয়াড়।

১জুন ২০০২- দক্ষিন আফ্রিকান ক্রিকেটার হ্যান্সি ক্রোনিয়ে বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান।

৭ সেম্টেম্বর,২০১১- ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় ৩৭ জন খেলোয়াড় মারা গিয়েছিলে রাশিয়ার আইস হকি টিম লোকোমোটিভ ইয়ারোস্লোভ।

মন্তব্যসমূহ