হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

স্কয়ার থেকে সিআরপিতে খাদিজা

সিলেটের সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী খাদিজা আক্তার নার্গিসকে স্কয়ার হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাকে স্কয়ার হাসপাতাল থেকে সাভারের সিআরপির (সেন্টার ফর দ্য রিহ্যাবিলিটেশন অফ দ্য প্যারালাইজড) উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়।

স্কয়ার হাসপাতালের কাস্টমার কেয়ার অফিসার জাহাঙ্গীর আলম জানান, সোমবার সকালে তাকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। খাদিজা হাঁটা চলা করতে পারে না। তাকে ফিজিওথেরাপি দেওয়ার জন্য সিআরপিতে পাঠানো হয়েছে।
 এর আগে গত শনিবার স্কয়ার হাসপাতালে খাদিজার চিকিৎসার অগ্রগতি জানাতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সেখানে খাদিজা জানান তিনি ভালো আছে। পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার জন্য সবার কাছে দোয়া চান।

খাদিজার চিকিৎসার ব্যয় সম্পর্কে জানতে চাইলে স্কয়ার হাসপাতালের মেডিক্যাল সার্ভিসেস ডিরেক্টর ডা. মির্জা নাজিম উদ্দিন জানান, কী পরিমাণ ব্যয় হয়েছে তা তিনি জানেন না।

তবে একটি সূত্র জানিয়েছে, স্কয়ার হাসপাতালে খাদিজার চিকিৎসায় সাড়ে ১৭ লাখ টাকার মতো ব্যয় হয়েছে। খাদিজা স্কয়ারে ভর্তির পর সরকারের পক্ষ থেকে খাদিজার চিকিৎসার সব ব্যয় বহনের দায়িত্ব নেয়া হয়।

খাদিজার বাবা মাসুক মিয়া জানান, স্কয়ার হাসপাতাল ছাড়ার সময় তার কোনো টাকা দেয়া লাগেনি। সরকার সব টাকা দিয়েছে। শুনেছি সাড়ে ১৭ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।

খাদিজা স্কয়ার হাসপাতালে ১১২৯ নম্বর কেবিনে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ৩ অক্টোবর বিকালে সিলেটের এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে সরকারি মহিলা কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নার্গিস বেগম খাদিজার (২৩) ওপর হামলা চালায় শাহাজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র ও শাবি ছাত্রলীগের সহসম্পাদক বদরুল আলম।

এ সময় চাপাতি দিয়ে খাদিজার শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপুরি কোপাতে থাকেন বদরুল। এতে খাদিজার মাথা ও পায়ে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়।

স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার মাথায় অস্ত্রোপচার করে সেলাই দেয়া হয়।

পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ৪ অক্টোবর ভোরে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে।

নতুন বার্তা

মন্তব্যসমূহ