হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

মসজিদে মাইকে আজান বন্ধে ইসরাইলের পদক্ষেপ গ্রহণযোগ্য নয়


তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম বলেছেন, আল-কুদস শহর ও এর আশপাশে মাইকে আজান বন্ধে ইসরাইলের পার্লামেন্টে আনা বিল কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটা ইসলামের ওপর ইসরাইলের আক্রমনাত্মক দৃষ্টিভঙ্গি এবং মুসলমানদের ধর্মাচরণ চর্চার স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপের সামিল। এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।

মঙ্গলবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ‘আল-কুদস এবং ইহার সাম্প্রতিক চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক ইন্টার-পার্লামেন্টারি কনফারেন্সে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, তুরস্কের অবস্থান সব ধর্ম এবং বিশ্বাসের স্বাধীনতা চর্চা লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে।


বিনালি ইলদিরিম বলেন, সীমান্তে চেকপয়েন্ট বসানো এবং আল-কুদসের কাছাকাছি মুসলমান ও খৃস্টানদের ধর্মাচরণ চর্চার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করে ইসরাইল মানুষের ধর্ম ও বিশ্বাসের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ করছে। সেই সঙ্গে উক্ত জনপদের কাঠামো পরিবর্তনের চেষ্টা করছে ইসরাইল। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

কেননা, হাজার বছর আগে থেকে এই জনপদে মুসলমান ও খৃস্টানরা সম্প্রতি বজায় রেখে ধর্ম চর্চা এবং বসবাস করে আসছে। ফলে ইহুদিবাদী ইসরাইলের এ ধরনের পলিসি কোনোভাবেই মেনে নিবে না তুরস্ক।

এ ধরনের কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখে এবং ওই জনপদের কাঠামো পরিবর্তনের চেষ্টা করে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি আলোচনা কোনোভাবেই সফল হবে না বলেও উল্লেখ করেন তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী।

তিনি আরো বলেন, যেকোনো মূল্যে ‘আল-কুদস’ জনপদকে রক্ষা করতে হবে। কেননা, এটি হচ্ছে আমাদের অতীত পরিচয়।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ইসরাইল শব্দ দূষণের অভিযোগ তুলে আল-কুদস শহর ও এর আশপাশের এলাকায় মসজিদে মাইকে আজান বন্ধে আইন প্রণয়নে পার্লামেন্টে একটি বিল আনে। এতে ফিলিস্তিন এবং বিভিন্ন মুসলিম দেশসমূহের নেতারা কঠোর সমালোচনা করে এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে আসছেন।

আনাদোলু নিউজ এজেন্সি অবলম্বনে

মন্তব্যসমূহ