হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

মধ্যরাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা

 




জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর সোমবার দিবাগত রাতে সহিংস হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ। বহিরাগতদের নিয়ে দুই দফায় হামলা চালায় তারা। পরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ক্যাম্পাস।


এর আগে ছাত্রলীগের হামলার শঙ্কায় ভিসির বাসভবনে আশ্রয় নেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। সেখানে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হামলার শিকার হতে হয় তাদের। পরে বিভিন্ন হল থেকে শত শত শিক্ষার্থী এসে হামলাকারী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিতাড়িত করে।


সোমবার দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।


শিক্ষার্থীরা জানায়, রাত ১২টার পরপর তিন শতাধিক কর্মী ও বহিরাগতদের নিয়ে প্রথম হামলা চালায় ছাত্রলীগ। হেলমেট পরে ধারালো অস্ত্র নিয়ে আসে তারা।


হামলাকারীরা শিক্ষার্থীদের দিকে পেট্রোল বোমা ছুড়তে থাকলে নিরাপত্তার আশায় ভিসির বাসভবনের ভেতরে অবস্থান নেয় তারা। সেখানে তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।


রাত সোয়া ১২টার দিকে পুলিশ এলে ভিসির বাসভবনের সামনে থেকে রাস্তায় সরে যায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে রাত পৌনে ১টার দিকে বাসভবনের গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে বেশ কয়েকটি পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে তারা। সেসময় ভিসি বাসভবনে থাকা সত্ত্বেও লাইট ভাঙচুর করে সেখানে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ।


পরে রাত সোয়া ২টার দিকে বিভিন্ন হল থেকে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী মিছিল নিয়ে ভিসির বাসভবনে গিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও বহিরাগতদের ধাওয়া করে। এসময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হলে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ।


এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষার্থীরা। বটতলা এলাকায় তাদের ওপর হামলা চালানো হলে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে হামলার বিচার ও অবৈধ শিক্ষার্থীদের হল থেকে বহিষ্কারের দাবিতে ভিসির বাসভবনের সামনে জড়ো হয় আন্দোলনকারীরা।


সূত্র : ইউএনবি

মন্তব্যসমূহ