হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

পুলিশ-শিক্ষার্থী সংঘর্ষে রণক্ষেত্র জাবি ক্যাম্পাস, আহত অর্ধশতাধিক


জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও পুলিশের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে ক্যাম্পাস। এ সময় আহত হয়েছে অর্ধশতাধিক। আজ বুধবার (১৭ জুলাই) বিকেলে প্রশাসনিক ভবনে অবরুদ্ধ উপাচার্য অধ্যাপক নুরুল আলমকে উদ্ধার করতে পুলিশ অভিযান চালালে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

এ সময় মুহুর্মুহু সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট, টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়ায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ক্যাম্পাস। এ সময় তিন শিক্ষার্থীসহ চারজন গুলিবিদ্ধ হয়। এরা হচ্ছেন তানভীর আহমেদ (গণিত-৪৯ ), আবিদুর রহমান (পাবলিক হেলথ-৫২), শাকিল আলী (ইতিহাস-৪৮) ও নিউজ টোয়েন্টিফোর চ্যানেলের ক্যামেরা পারসন এমদাদ মাহমুদ। তাঁরা এখন এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আজ সকালে  জরুরি সিন্ডিকেট সভা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর থেকে ক্রমেই উত্তপ্ত হতে থাকে পরিস্থিতি।

দুপুরে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে গিয়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন রেজিস্ট্রার আবু হাসান। এ সময় তাঁকে জুতা নিক্ষেপ করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে তারা প্রশাসনিক ভবন লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ভাঙচুর চালায়। দিনভর ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে ব্যারিকেড গড়ে তোলে আন্দোলনকারীরা।
এদিকে অবরুদ্ধ উপাচার্যকে উদ্ধার করতে নির্বাহী ম্যাজিট্রেট ও সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাহুল চন্দ্র শিক্ষার্থীদের ব্যারিকেড তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানালেও তা প্রত্যাখ্যান করে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা।

বিকেল সোয়া ৫ টার দিকে অ্যাকশনে যায় পুলিশ। শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি অবস্থানে থাকা পুলিশ সদস্যরা মুরাদ চত্বর থেকে হটিয়ে দেয় শিক্ষার্থীদের। এ সময় শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে মুহুর্মুহু সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ক্যাম্পাস।
অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধের মুখে গত সোমবার সন্ধ্যা থেকেই ক্যাম্পাস ছাড়তে থাকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। গভীর রাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীদের সন্ধানে তল্লাশি চালায় আন্দোলনকারীরা।

এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দখলে থাকা ১৯টি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়।

সকালে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) সব বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ এবং শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশনা দিলে তা-ও প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এর আগে বিকেল ৪টার মধ্যে আবাসিক হল ত্যাগের সময়সীমা অতিক্রম হলেও শিক্ষার্থীদের অনড় অবস্থানে পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।


মন্তব্যসমূহ