হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ছাত্রলীগের আরও ৩ নেতার পদত্যাগ


শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও দুই ছাত্রলীগ নেত্রী ও তিতুমীর কলেজের এক ছাত্রলীগ নেতা পদত্যাগ করেছেন। সোমবার (১৫ জুলাই) এ পদত্যাগের ঘোষণা দেন তারা। ছাত্রলীগের এই নেতারা নিজেদের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে স্ট্যাটাস দিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আফিয়া ফাহমিদা শুচি ফেসবুকে এক পোস্ট উল্লেখ করেন, 'আমি আফিয়া ফাহমিদা শুচি, সাংগঠনিক সম্পাদক বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হল শাখা ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পদ থেকে সজ্ঞানে অব্যাহতি নিচ্ছি। এই পদে আর সংগঠনে আমার কোনো পরিচয় নাই, বরং ঘৃণিত হবো নিজের কাছেই লজ্জিত হবো।'


ঢাবির আরও এক শিক্ষার্থী মাহমুদা বাশার বৃষ্টি ফেসবুকে এক পোস্ট উল্লেখ করেন, 'আমি মাহমুদা বাশার বৃষ্টি, 
যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হল শাখা ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পদ থেকে সজ্ঞানে অব্যাহতি নিচ্ছি। এই পদ এবং সংগঠনে আমার কোনো পরিচয় নাই, বরং ঘৃণিত এবং লজ্জিত হবো হবো নিজেরই কাছে।'


এদিকে সরকারি তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কার্যকরী সদস্য মাহাবুব হাসান রিপনও পদত্যাগ করেছেন।

মাহাবুব তার স্ট্যাটাসে লেখেন, ‍‍`আমি তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের কার্যকরী সদস্যপদ থেকে অব্যাহতি নিলাম।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আমি ছাত্রলীগের কার্যকরী সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি নেওয়ার অনেকগুলো কারণ রয়েছে। প্রথমত, সাধারণ শিক্ষার্থীরা যেই আন্দোলন করছে তা সম্পূর্ণ যৌক্তিক এবং সেই আন্দোলনে ছাত্রলীগ তাদের উপর হামলে পড়েছে। আমি মনে করি ছাত্রলীগ লেজুড়বৃত্তি ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে কোনোভাবেই কাজ করতে পারে না। কারণ ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে যে তারা একটি স্বতন্ত্র সংগঠন কিংবা ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন, কোন সহযোগী সংগঠন নয়। ঠিক সেই জায়গা থেকে তারা যেভাবে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করেছে, আমি মনে করি আমি যেই উদ্দেশ্যকে ধারণ করে ছাত্রলীগে যোগ দিয়েছিলাম সেটার পরিপন্থি।

এ সময় তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি ছাত্রলীগের বর্তমান কার্যক্রম যেভাবে বিতর্কিত হচ্ছে, একজন সাধারণ শিক্ষার্থী এবং সাধারণ নাগরিক হিসেবে, আমি মনে করি এটি আসলে বঙ্গবন্ধু যে আদর্শকে ধারণ করে ছাত্রলীগের জন্ম দিয়েছিলেন সেটার সাথে এই ছাত্রলীগের কোনো মিল নেই। সেই জায়গা থেকে আমি সরকারি তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি নিয়েছি।

মন্তব্যসমূহ