হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি হামলা, নিহত ১৫ ফিলিস্তিনি

 




ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের দুটি শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি হামলায় অন্তত ১৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকই।


মঙ্গলবার রাতে মধ্যগাজার বুরেইজ ও মাগাজি শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি হামলায় হতাহতের এই ঘটনা ঘটে। খবর আলজাজিরার।


ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেছেন, মধ্যগাজার বুরেইজ ও মাগাজি শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি স্থল ও বিমান হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। 


স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ হাসপাতালের মাঠের বাইরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত কয়েক ঘণ্টায় ১৫ জনেরও বেশি শহিদ এবং কয়েক ডজন আহত আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে পৌঁছেছেন।’


যদি মধ্য গাজার এই এলাকায় ‘আগ্রাসন’ বন্ধ না হয়, তবে নিহতদের সংখ্যা দ্রুত বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই মুখপাত্র বলেছেন, আল-আকসা শহিদ হাসপাতালই একমাত্র চিকিৎসা অবকাঠামো যা বর্তমানে এই এলাকার ১০ লাখেরও বেশি মানুষকে সেবা দিচ্ছে।


তিনি বলেন, এই হাসপাতালে আরও রোগীদের জায়গা দেওয়ার সুযোগ নেই। হাসপাতালটি ইতোমধ্যেই ‘আহত লোকে উপচে পড়েছে’, যাদের মধ্যে অনেককে মেঝেতে চিকিৎসা করা হচ্ছে।


আল-আকসা শহিদ হাসপাতালের কর্মকর্তাদের মতে, পার্শ্ববর্তী মাগাজি শরণার্থী শিবিরের আরেকটি বাড়িতে হামলায় দুইজন নিহত হয়েছেন।


এর আগে, ইসরাইলি সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছিল, তাদের যুদ্ধবিমানগুলো মধ্য গাজায় হামাসের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। এছাড়া স্থল বাহিনী আল-বুরেইজ এলাকায় ‘গোয়েন্দাদের দিকনির্দেশনা সঙ্গে নিয়ে মনোযোগীভাবে’ কাজ করছে।


আলজাজিরার হানি মাহমুদ দেইর আল-বালাহ থেকে বলেছেন, হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মীরা হতাহতের সংখ্যা দেখে অভিভূত হয়ে পড়েছে। 


তিনি বলেন, ‘চিকিৎসকরা সর্বত্র দৌড়াচ্ছেন, জীবন বাঁচাতে জরুরি অপারেশন করার জন্য অ্যান্টিসেপটিক্স এবং চেতনানাশকসহ অবশিষ্ট চিকিৎসা সরঞ্জামের সন্ধান করছেন।’


তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এখনও ঘনবসতিপূর্ণ মাগাজি এবং বুরেইজ ক্যাম্পসহ মধ্য গাজার পূর্বাঞ্চলে চলমান হামলা এবং ভারী মেশিনগানের গোলাগুলির বিস্ফোরণ ও শব্দ শুনতে পাচ্ছি। আমরা নিহতদের আত্মীয়দের কাছ থেকে শুনেছি, সেই শিবিরগুলোতে বোমায় বিধ্বস্ত বাড়িতে অনেকেই আটকে আছে।’


এদিকে গত বছরের অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান আক্রমণে নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে কমপক্ষে ৩৬ হাজার ৫৫০ জনে পৌঁছেছে বলে মঙ্গলবার অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।


মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, হামলায় আরও ৮২ হাজার ৯৫৯ জন আহত হয়েছেন।

মন্তব্যসমূহ