হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়ালো ১৭ হাজার



গাজা উপত্যকার অনেক এলাকাতেই বোমা হামলা চালিয়েছে তেলআবিব। এতে অঞ্চলটিতে প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার। খবর ডন ও ফ্রান্স টোয়েন্টি ফোরের।


হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় মৃতের সংখ্যা ১৭ হাজারের বেশি ছাড়িয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। রয়টার্স বলছে, গাজায় যুদ্ধের দুমাস অতিবাহিত হওয়ার পর দেখা যাচ্ছে যে, ছোট-বড় বহু অবরুদ্ধ এলাকা ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে বিধ্বস্ত। সেখানে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে তাঁবুতে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে বয়স্ক ও নবজাতকরা।


বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) রাতভর ও চলেছে ইসরায়েলি তাণ্ডব। খান ইউনিসে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ বাহিনী ও ইসরাইলি সেনাদের মধ্যে তীব্র লড়াই হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাদের দাবি, তাদের হামলায় নিহত হয়েছে বেশ কয়েকজন অস্ত্রধারী। এদের মধ্যে দু’জন টানেল থেকে হামলা চালাচ্ছিলো।


এছাড়া, মধ্য গাজার দেইর আল বালাহ এলাকার একটি আবাসিক ভবনে বোমা হামলা চালিয়েছে তেল আবিব। এই হামলায় অন্তত তিন ফিলিস্তিনির মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজা শহরের কাছে ইসরায়েলি হামলায় আরও ৪০ জন নিহত হয়েছে।


প্রসঙ্গত, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলা চালায় হামাস। এতে এক হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হন এবং হামাসের হাতে জিম্মি হন প্রায় ২৪০ জন। ইসরায়েলের দাবি, হামাসের কাছে আরও ১৩৬ জন জিম্মি আটক আছে।


এ ঘটনার পর হামাসকে নির্মূলের অঙ্গীকার করে ইসরায়েল। এই লক্ষ্যে গাজা উপত্যকায় প্রায় দুই মাস ধরে চালায় নির্বিচার স্থল ও বিমান হামলা। এরপর কাতারের মধ্যস্থতায় দুই পক্ষ সাত দিনের ‘যুদ্ধবিরতি’তে সম্মত হলেও গত শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) এর মেয়াদ শেষ হয়। যুদ্ধবিরতি শেষে গাজায় নতুন করে সহিংসতা দেখা দেয়। যুদ্ধবিরতির মাঝে ২৪০ ফিলিস্তিনি বন্দীর বিনিময়ে ১০৫ জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস।

মন্তব্যসমূহ