শুক্রবার ক্লাসের সিদ্ধান্ত হয়নি, ভুলবশত ফেসবুকে পোস্ট হয়েছিল

শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বরাতে যে বক্তব্যটি শিক্ষামন্ত্রণালয় তাদের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে পোস্ট দিয়েছিল তা ভুলবশত বলে জানিয়েছে তারা। অপর এক পোস্টে আজ রোববার (৫ মে) বিকেলে ৪টার দিকে এই তথ্য জানায় তারা। এই পোস্টে মন্ত্রণালয় আরও বলেছে,  শুক্রবারের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ফেসবুক পেজ থেকে আগের পোস্টটি সরিয়ে নতুন পোস্টে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে ‘শুক্রবার শিক্ষা খোলার বিষয়ের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড পেজে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে দেওয়া তথ্য ভুলবশত পোস্ট করা হয়েছে। এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারের পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’  এর আগে একই পেজে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে বলা হয়েছিল, ‘আমাদের এখন বছরে স্কুলের মোট কর্মদিবস ১৮৫টি। এর মধ্যে ২০ দিন নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নের জন্য রাখা হয়েছে। স্কুলের কর্মদিবস যদি আরও কমে যায়, শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে।’

১৩ দেশের ৩৭ ব্যক্তির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

 




বৈশ্বিক মানবাধিকার ঘোষণার ৭৫তম বার্ষিকী সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডা তাদের সমন্বিত পদক্ষেপের অংশ হিসেবে আরও বেশকিছু মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এরমধ্যে রয়েছে দক্ষিপূর্ব এশিয়ার মানবপাচারকারী থেকে শুরু করে অধিকার লঙ্ঘনকারী তালেবান কর্মকর্তারা এমনকি হাইতির দস্যু নেতারাও। খবর এএফপির।


আগামীকাল রোববার (১০ ডিসেম্বর) বিশ্ব মানবাধিকার দিবসকে কেন্দ্র করে দেওয়া এসব নিষেধাজ্ঞার অংশ হিসেবে যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, তারা ৪৬ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সম্পদ আটকে দেওয়াসহ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।


যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে ১৩টি দেশের ৩৭ ব্যক্তির বিরুদ্ধে আর কানাডা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সাত ব্যক্তির ওপর। 


এ প্রসঙ্গে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরুন বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী সাধারণ মা‍নুষের স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার পদদলিত করা অপরাধী ও শাসকদের তৎপরতাকে সহ্য করা হবে না।’


ক্যামেরুন আরও বলেন, ‘আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই বৈশ্বিক মানবাধিকার ঘোষণার ৭৫ বছরে যুক্তরাজ্য ও তার মিত্ররা সাধারণ মানুষের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিরলসভাবে কাজ করে যাবে।’


যুক্তরাজ্যের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞায় রয়েছে বেলারুশের বিচার বিভাগের ১৭ জন সদস্য যাদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিরোধী রাজনৈতিক কর্মী, সাংবাদিক ও অধিকারকর্মীদের হয়রানির অভিযোগ আনা হয়েছে।


এছাড়া ইরানের পাঁচজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে বাধ্যতামূলক হিজাব আইন প্রয়োগের জন্য এবং নয়জনের বিরুদ্ধে কম্বোডিয়া, লাওস ও মিয়ানমারে মানবপাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। 


এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা বিশ্বের মানবাধিকার রক্ষায় ক্ষতিকর ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কাজ করবে। এসব তৎপরতার মধ্যে রয়েছে সংঘাত সংক্রান্ত যৌন সহিংসতা ও জোর করে কাজ করতে বাধ্য করার মতো বিষয়।


যুক্তরাষ্ট্রের এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আছেন ২০২১ সালে আফগানিস্তানে ক্ষমতার পালাবদলে দেশের নিয়ন্ত্রণে আসা তালেবান কর্মকর্তারা, যারা নারীদের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করছেন।


ব্লিঙ্কেন আরও জানান, শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) আরোপ করা এই নিষেধাজ্ঞায় রয়েছে হাইতির দস্যুনেতাসহ কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের পাঁচটি সশস্ত্র সংগঠনের নেতারা।


কানাডা তাদের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রেখেছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার প্রধানসহ চেচনিয়ায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত চারজন রুশ নাগরিককে।


অটোয়া ও লন্ডনের সঙ্গে সমন্বয় করে দেওয়া এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘মানবাধিকারের প্রতি সম্মান বাড়াতে এবং শক্তিশালী ও দীর্ঘস্থায়ী আইনসম্মত বিশ্ব ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় এই সমন্বিত প্রয়াস কাজ করবে।’

মন্তব্যসমূহ