হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

শত শত অভিবাসীকে হত্যা করেছে সৌদি, চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট

 




সৌদি আরবের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) তাদের নতুন এক প্রতিবেদনে অভিযোগ করেছে, সৌদির সীমান্তরক্ষীরা ইয়েমেন সীমান্তে শত শত অভিবাসীকে হত্যা করেছে। খবর বিবিসির।


রিপোর্টে বলা হয়েছে, এসব অভিবাসীর মধ্যে বহু ইথিওপিয়ানও আছেন। তারা যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেন পার হয় সৌদিতে প্রবেশের চেষ্টা করে। তাদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।


অনেক অভিবাসী বিবিসিকে বলেছে, গুলির আঘাতে তাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। সেইসঙ্গে তারা অনেক মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেছে। তবে এর আগে সৌদি আরব পরিকল্পিত হত্যার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।


দে ফায়ার্ড অন আস লাইক রেইন-শিরোনামে এইচআরডব্লিউ তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে অভিবাসীদের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।


তারা জানিয়েছে, তাদেরকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়, মাঝে মধ্যে তাদের ওপর বিস্ফোরকও অস্ত্র দিয়েও হামলা চালানো হয়। সৌদির সঙ্গে ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তে সৌদি পুলিশ ও সেনারা এসব করেছে।


এ ছাড়া আলাদাভাবে অভিবাসীদের সঙ্গে কথা বলেছে বিবিসি। এসব অভিবাসী ছিল ইথিওপিয়ার একটি বিশাল দল। যার মধ্যে নারী ও শিশু ছিল- তারা কাজের খোঁজে রাতে সীমান্ত পার হয়ে সৌদি প্রবেশের চেষ্টা করলে তাদের ওপর অতর্কিতে গুলিবর্ষণ করা হয়।


২১ বছর বয়সী মুস্তফা সৌফিয়া মোহাম্মদ বিবিসিকে বলেন, তারা গুলি চালিয়ে যাচ্ছিল। গত বছরের জুলাইতে তারা সীমান্ত পার হয়ে সৌদি আরব প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। তিনি বলেন, ৪৫ জনের একটি দলের মধ্যে কয়েকজন সেদিন গুলিতে নিহত হয়েছে।


মুস্তফা বলেছেন, ‘আমি এমনকি বুঝতেও পারিনি আমি গুলিবিদ্ধ হয়েছি। কিন্তু যখন আমি উঠে দাঁড়াতে এবং হাঁটার চেষ্টা করি তখন বুঝতে পারি পা আমার নেই।’


জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা জানিয়েছে, প্রতিবছর দুই লাখের বেশি লোক আফ্রিকা থেকে ইয়েমেনে সাগরপথে আসে এবং সৌদিতে প্রবেশের চেষ্টা চালায়। এদের মধ্যে অনেককে জেল খাটতে হয় সেইসঙ্গে রয়েছে নৃশংস অত্যাচার।


বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের মার্চ থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত সময়ে এ রিপোর্ট করা হয়েছে। এতে ২৮টি আলাদা ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে। যার মধ্যে গোলাগুলি ও বিস্ফোরক অস্ত্র ব্যবহারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।


এই রিপোর্টের মূল লেখক নাদিয়া হার্ডম্যান বিবিসিকে বলেছেন, ‘আমরা যা নথিভুক্ত করেছি তা মূলত গণহত্যা।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘আমরা বলব অন্তত ৬৫৫ জনকে হত্যা করা হয়েছে কিন্তু এটি সম্ভবত হাজারের বেশি হতে পারে।’



মন্তব্যসমূহ