হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

পুলিশ গয়েশ্বরকে সেভ করেছে : হারুন

 




বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে পুলিশ সেভ করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।


শনিবার (২৯ জুলাই) দুপুরে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান তিনি।


হারুন বলেন, রাজধানীর ধোলাইখাল মোড়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে উদ্দেশ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়েন। এসময় তাদের ধাওয়া দিলে বিএনপি নেতা গয়েশ্বর রাস্তায় পড়ে যান। ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ তাকে সেভ করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসে।


তবে, তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে কি না- বিষয়ে পরবর্তী সময়ে জানানো হবে বলে জানান ডিবি প্রধান।


এর আগে, নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে শনিবার (২৯ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর প্রবেশ পথগুলোতে অবস্থান কর্মসূচি পালনের চেষ্টা করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে চাইলে ধোলাইখাল, গাবতলী, মাতুয়াইল, উত্তরা, শ্যামলী আব্দুল্লাপুর ও সিদ্ধিরগঞ্জে দু’পক্ষের সংঘর্ষ বাধে। বিশেষ করে, ধোলাইপাড় এলাকায় দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ সময় ভাঙচুর করা করা হয় বেশ কয়েকটি যানবাহন। পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে বিক্ষুব্ধরা। পুলিশও টিয়ারসেল ছুড়ে নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে।


এ ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ। আহতদের মধ্যে ছয়জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


এদিকে, বিএনপির কর্মসূচি ঘিরে সকাল থেকেই সতর্ক পাহারায় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বিএনপি যেসব এলাকায় অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছে—সেসব এলাকায় জলকামান, সাঁজোয়া যান নিয়ে পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন। এ ছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পুলিশকে টহল দিতে দেখা গেছে। যাকেই সন্দেহ হচ্ছে—তল্লাশি করা হচ্ছে। বিএনপির এই অবস্থান কর্মসূচি ঘিরে সতর্ক পাহারায় রয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগও।


ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে রাজধানীর প্রবেশপথ আটকালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে ঢাকার প্রবেশপথ আটকাতে দেওয়া হবে না। যদি কেউ আটকায়, তাদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব।

মন্তব্যসমূহ