জিম্মিকে ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরাইলের ছয় বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এ দিনই ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল ইসরাইলের। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে ইসরাইলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আপাতত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না। শনিবার দিবাগত রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। খবর এএফপির। নেতানিয়াহু বলেন, ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের জিম্মিদের অসম্মান করা এবং অপপ্রচারের জন্য জিম্মিদের নিন্দনীয়ভাবে ব্যবহার করাসহ হামাসের বারবার (যুদ্ধবিরতির চুক্তি) লঙ্ঘনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পরবর্তী ধাপে অপমানজনক অনুষ্ঠান ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত শনিবার যেসব সন্ত্রাসীদের (ফিলিস্তিনি) মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাদের ছাড়া হবে না।’ দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস রক্তাক্ত সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর পর থেকে যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের মুক্তির সময় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ...

গির্জায় প্রায় ৫ হাজার শিশু যৌন নির্যাতনের শিকার

 




পর্তুগালের একটি ক্যাথলিক গির্জায় ৪ হাজার ৮১৫ শিশু যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। গির্জায় অপ্রাপ্তবয়স্কদের যৌন নিপীড়নের তদন্ত করা একটি স্বাধীন কমিশন গতকাল সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। খবর আল-জাজিরা ও বিবিসির।


কমিশনের সভাপতি শিশু মনোরোগ বিশেষজ্ঞ পেদ্রো স্ট্রেচট বলেন, ‘শৈশবে যারা নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন তারা নীরবতা ভেঙ্গে প্রতিবাদ করার যে সাহস দেখিয়েছেন, তাদের প্রতি আমরা আন্তরিক শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।’


তদন্তে কমিশন ভুক্তভুগীরা ৫৬৪টি ঘটনার বর্ণনা দেন। তারা বলছেন, ১৯৫০ সাল থেকে পুরোহিত বা গির্জার অন্যান্য কর্মকর্তারা এসব নির্যাতন চালিয়েছেন।  


স্ট্রেচট বলেন, ‘গির্জার বাইরে ক্যাথলিক স্কুল, যাজকদের বাড়িতে এবং কনফেসনের স্থানেও শিশুদের নির্যাতন করা হয়েছিল। অনেকে সাক্ষী দেয়নি। এ হিসেবে নিপীড়নের ঘটনা আরও বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছি।’


পর্তুগিজ এপিস্কোপাল কনফারেন্সের সভাপতি লেইরিয়া-ফাতিমার বিশপ জোসে অরনেলাস পরে এ বিষয়ে তার  বিবৃতি দেবেন।


গত রোববার তিনি বলেন, ‘প্রতিবেদনটি হাতে পেয়েছি। ৩ মার্চ নির্ধারিত একটি অধিবেশনে ভুক্তভোগীদের ‘ন্যায়বিচার’ দেওয়ার সর্বোত্তম উপায় নিয়ে চিন্তা করব।

মন্তব্যসমূহ