জিম্মিকে ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরাইলের ছয় বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এ দিনই ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল ইসরাইলের। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে ইসরাইলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আপাতত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না। শনিবার দিবাগত রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। খবর এএফপির। নেতানিয়াহু বলেন, ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের জিম্মিদের অসম্মান করা এবং অপপ্রচারের জন্য জিম্মিদের নিন্দনীয়ভাবে ব্যবহার করাসহ হামাসের বারবার (যুদ্ধবিরতির চুক্তি) লঙ্ঘনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পরবর্তী ধাপে অপমানজনক অনুষ্ঠান ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত শনিবার যেসব সন্ত্রাসীদের (ফিলিস্তিনি) মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাদের ছাড়া হবে না।’ দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস রক্তাক্ত সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর পর থেকে যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের মুক্তির সময় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ...

ভূমিকম্পের ১৭৮ ঘণ্টা পর শিশু জীবিত উদ্ধার

 




তুরস্কে ভূমিকম্পের ১৭৮ ঘণ্টা পর ধ্বংসস্তুপ থেকে ৬ বছরের এক শিশুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দক্ষিণাঞ্চলীয় আদিয়ামান নগরীর অ্যাপার্টমেন্ট ব্লক থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। খবর বিবিসির।


সিএনএন তুর্ক সম্প্রচারমাধ্যম ওই শিশুর বয়স ৬ বলে জানিয়েছে। উদ্ধারকারীরা তার বড় বোনকে উদ্ধার করার জন্য তার কাছেও পৌঁছে গেছে বলে জানানো হয়েছে খবরে।


এক সপ্তাহ আগে তুরস্ক ও সিরিয়াকে কাঁপিয়ে দেওয়া শক্তিশালী ভূমিকম্পে এরই মধ্যে মৃতের সংখ্যা ৩৬ হাজার ছাড়িয়েছে। এখনো বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে।


তাদেরকে উদ্ধারে উদ্ধারকর্মীরা প্রাণপণ প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। উদ্ধারকাজের সময় দুই দেশেই দীর্ঘ সময় পর মানুষজনকে জীবিত উদ্ধারের বিস্ময়কর ও আলোচিত ঘটনা ঘটছে।


গত সোমবার স্থানীয় সময় ভোররাতে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর গাজিয়ানতেপের কাছে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে তুরস্কের অন্তত ১০টি প্রদেশ ও দক্ষিণের প্রতিবেশী সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়।


সোমবার উদ্ধারকারীরা ধসে পড়া ভবনগুলো থেকে কয়েকজনকে জীবিত উদ্ধার করেছে। একটি পরিবারের কন্যা, মা এবং দাদিকে উদ্ধারের জন্য খোঁড়াখুঁড়ি চলছে। তবে সময় গড়িয়ে যেতে থাকার সঙ্গে সঙ্গে মানুষজনকে জীবিত উদ্ধারের আশা ক্ষীণ হয়ে আসছে।


সিরিয়ার আলেপ্পোতে জাতিসংঘ ত্রাণ মিশনের প্রধান মার্টিন গ্রিফিথ সোমবার বলেছেন, উদ্ধারকাজ শেষ হয়ে আসার পথে। এখন মনোনিবেশ করা হবে মানুষজনকে আশ্রয়, খাবার দেওয়াসহ অন্যান্য প্রয়োজন মেটানোর দিকে।

মন্তব্যসমূহ