হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

ভূমিকম্পের ১৭৮ ঘণ্টা পর শিশু জীবিত উদ্ধার

 




তুরস্কে ভূমিকম্পের ১৭৮ ঘণ্টা পর ধ্বংসস্তুপ থেকে ৬ বছরের এক শিশুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দক্ষিণাঞ্চলীয় আদিয়ামান নগরীর অ্যাপার্টমেন্ট ব্লক থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। খবর বিবিসির।


সিএনএন তুর্ক সম্প্রচারমাধ্যম ওই শিশুর বয়স ৬ বলে জানিয়েছে। উদ্ধারকারীরা তার বড় বোনকে উদ্ধার করার জন্য তার কাছেও পৌঁছে গেছে বলে জানানো হয়েছে খবরে।


এক সপ্তাহ আগে তুরস্ক ও সিরিয়াকে কাঁপিয়ে দেওয়া শক্তিশালী ভূমিকম্পে এরই মধ্যে মৃতের সংখ্যা ৩৬ হাজার ছাড়িয়েছে। এখনো বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে।


তাদেরকে উদ্ধারে উদ্ধারকর্মীরা প্রাণপণ প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। উদ্ধারকাজের সময় দুই দেশেই দীর্ঘ সময় পর মানুষজনকে জীবিত উদ্ধারের বিস্ময়কর ও আলোচিত ঘটনা ঘটছে।


গত সোমবার স্থানীয় সময় ভোররাতে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর গাজিয়ানতেপের কাছে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে তুরস্কের অন্তত ১০টি প্রদেশ ও দক্ষিণের প্রতিবেশী সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়।


সোমবার উদ্ধারকারীরা ধসে পড়া ভবনগুলো থেকে কয়েকজনকে জীবিত উদ্ধার করেছে। একটি পরিবারের কন্যা, মা এবং দাদিকে উদ্ধারের জন্য খোঁড়াখুঁড়ি চলছে। তবে সময় গড়িয়ে যেতে থাকার সঙ্গে সঙ্গে মানুষজনকে জীবিত উদ্ধারের আশা ক্ষীণ হয়ে আসছে।


সিরিয়ার আলেপ্পোতে জাতিসংঘ ত্রাণ মিশনের প্রধান মার্টিন গ্রিফিথ সোমবার বলেছেন, উদ্ধারকাজ শেষ হয়ে আসার পথে। এখন মনোনিবেশ করা হবে মানুষজনকে আশ্রয়, খাবার দেওয়াসহ অন্যান্য প্রয়োজন মেটানোর দিকে।

মন্তব্যসমূহ