শুক্রবার ক্লাসের সিদ্ধান্ত হয়নি, ভুলবশত ফেসবুকে পোস্ট হয়েছিল

শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বরাতে যে বক্তব্যটি শিক্ষামন্ত্রণালয় তাদের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে পোস্ট দিয়েছিল তা ভুলবশত বলে জানিয়েছে তারা। অপর এক পোস্টে আজ রোববার (৫ মে) বিকেলে ৪টার দিকে এই তথ্য জানায় তারা। এই পোস্টে মন্ত্রণালয় আরও বলেছে,  শুক্রবারের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ফেসবুক পেজ থেকে আগের পোস্টটি সরিয়ে নতুন পোস্টে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে ‘শুক্রবার শিক্ষা খোলার বিষয়ের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড পেজে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে দেওয়া তথ্য ভুলবশত পোস্ট করা হয়েছে। এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারের পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’  এর আগে একই পেজে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে বলা হয়েছিল, ‘আমাদের এখন বছরে স্কুলের মোট কর্মদিবস ১৮৫টি। এর মধ্যে ২০ দিন নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নের জন্য রাখা হয়েছে। স্কুলের কর্মদিবস যদি আরও কমে যায়, শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে।’

ভূমিকম্পের ১৭৮ ঘণ্টা পর শিশু জীবিত উদ্ধার

 




তুরস্কে ভূমিকম্পের ১৭৮ ঘণ্টা পর ধ্বংসস্তুপ থেকে ৬ বছরের এক শিশুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দক্ষিণাঞ্চলীয় আদিয়ামান নগরীর অ্যাপার্টমেন্ট ব্লক থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। খবর বিবিসির।


সিএনএন তুর্ক সম্প্রচারমাধ্যম ওই শিশুর বয়স ৬ বলে জানিয়েছে। উদ্ধারকারীরা তার বড় বোনকে উদ্ধার করার জন্য তার কাছেও পৌঁছে গেছে বলে জানানো হয়েছে খবরে।


এক সপ্তাহ আগে তুরস্ক ও সিরিয়াকে কাঁপিয়ে দেওয়া শক্তিশালী ভূমিকম্পে এরই মধ্যে মৃতের সংখ্যা ৩৬ হাজার ছাড়িয়েছে। এখনো বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে।


তাদেরকে উদ্ধারে উদ্ধারকর্মীরা প্রাণপণ প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। উদ্ধারকাজের সময় দুই দেশেই দীর্ঘ সময় পর মানুষজনকে জীবিত উদ্ধারের বিস্ময়কর ও আলোচিত ঘটনা ঘটছে।


গত সোমবার স্থানীয় সময় ভোররাতে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর গাজিয়ানতেপের কাছে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে তুরস্কের অন্তত ১০টি প্রদেশ ও দক্ষিণের প্রতিবেশী সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়।


সোমবার উদ্ধারকারীরা ধসে পড়া ভবনগুলো থেকে কয়েকজনকে জীবিত উদ্ধার করেছে। একটি পরিবারের কন্যা, মা এবং দাদিকে উদ্ধারের জন্য খোঁড়াখুঁড়ি চলছে। তবে সময় গড়িয়ে যেতে থাকার সঙ্গে সঙ্গে মানুষজনকে জীবিত উদ্ধারের আশা ক্ষীণ হয়ে আসছে।


সিরিয়ার আলেপ্পোতে জাতিসংঘ ত্রাণ মিশনের প্রধান মার্টিন গ্রিফিথ সোমবার বলেছেন, উদ্ধারকাজ শেষ হয়ে আসার পথে। এখন মনোনিবেশ করা হবে মানুষজনকে আশ্রয়, খাবার দেওয়াসহ অন্যান্য প্রয়োজন মেটানোর দিকে।

মন্তব্যসমূহ