হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে প্রাণহানি ছাড়াল ৩৩ হাজার

 




সিরিয়া ও তুরস্কে স্মরণকালের ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত্যু ৩৩ হাজার ছাড়িয়েছে। এখনো ধ্বংসস্তূপ থেকে লাশ বের করে আনছেন উদ্ধারকর্মীরা।


সবশেষ দুই দেশে প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ১৮১ জনে। এদিকে সিরিয়ায় প্রচণ্ড ঠাণ্ডার পাশাপাশি বিদ্রোহী অধ্যুষিত এলাকায় ত্রাণ ও উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে।খবর রয়টার্সের।


রোববার তুরস্কের জরুরি সমন্বয় কেন্দ্র (এসকেওএম) জানিয়েছে, শুধু তুরস্কে মৃত্যু সংখ্যা ২৯ হাজার ৬০৫ জনে দাঁড়িয়েছে।


সিরিয়ায় এখন পর্যন্ত মারা গেছেন তিন হাজার ৫৭৬ জন। এর মধ্যে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় বিদ্রোহী অধ্যুষিত এলাকায় মৃত্যু সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।


ভয়াবহ ভূমিকম্পে ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে করণীয় নিয়ে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আব্দুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান।


রাজধানী দামেস্কে দুই নেতার বৈঠক হয়। সিরিয়ায় সহায়তা পাঠানোয় জায়েদকে ধন্যবাদ জানান প্রেসিডেন্ট আসাদ।


যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানো নিয়ে বেশ জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে বিদ্রোহী অধ্যুষিত এলাকায় নানা বাধা রয়েছে। উদ্ধারকারী দল এবং ত্রাণ সহায়তা পৌঁছাতে আসাদ সরকারের সহায়তা চেয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো।


এমন বিপর্যয়ের মধ্যেও তুরস্কের বিধ্বস্ত অঞ্চলে ৪ দশমিক ৬ মাত্রার আফটারশক আঘাত হেনেছে। বিষয়টি জানিয়েছে দেশটির দুর্যোগ  ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।


উল্লেখ্য, গত ৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্ক-সিরিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ধসে গেছে কয়েক হাজার ঘরবাড়ি। বাস্তচ্যুত লাখ লাখ মানুষ।

মন্তব্যসমূহ