শুক্রবার ক্লাসের সিদ্ধান্ত হয়নি, ভুলবশত ফেসবুকে পোস্ট হয়েছিল

শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বরাতে যে বক্তব্যটি শিক্ষামন্ত্রণালয় তাদের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে পোস্ট দিয়েছিল তা ভুলবশত বলে জানিয়েছে তারা। অপর এক পোস্টে আজ রোববার (৫ মে) বিকেলে ৪টার দিকে এই তথ্য জানায় তারা। এই পোস্টে মন্ত্রণালয় আরও বলেছে,  শুক্রবারের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ফেসবুক পেজ থেকে আগের পোস্টটি সরিয়ে নতুন পোস্টে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে ‘শুক্রবার শিক্ষা খোলার বিষয়ের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড পেজে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে দেওয়া তথ্য ভুলবশত পোস্ট করা হয়েছে। এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারের পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’  এর আগে একই পেজে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে বলা হয়েছিল, ‘আমাদের এখন বছরে স্কুলের মোট কর্মদিবস ১৮৫টি। এর মধ্যে ২০ দিন নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নের জন্য রাখা হয়েছে। স্কুলের কর্মদিবস যদি আরও কমে যায়, শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে।’

তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে প্রাণহানি ছাড়াল ৩৩ হাজার

 




সিরিয়া ও তুরস্কে স্মরণকালের ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত্যু ৩৩ হাজার ছাড়িয়েছে। এখনো ধ্বংসস্তূপ থেকে লাশ বের করে আনছেন উদ্ধারকর্মীরা।


সবশেষ দুই দেশে প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ১৮১ জনে। এদিকে সিরিয়ায় প্রচণ্ড ঠাণ্ডার পাশাপাশি বিদ্রোহী অধ্যুষিত এলাকায় ত্রাণ ও উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে।খবর রয়টার্সের।


রোববার তুরস্কের জরুরি সমন্বয় কেন্দ্র (এসকেওএম) জানিয়েছে, শুধু তুরস্কে মৃত্যু সংখ্যা ২৯ হাজার ৬০৫ জনে দাঁড়িয়েছে।


সিরিয়ায় এখন পর্যন্ত মারা গেছেন তিন হাজার ৫৭৬ জন। এর মধ্যে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় বিদ্রোহী অধ্যুষিত এলাকায় মৃত্যু সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।


ভয়াবহ ভূমিকম্পে ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে করণীয় নিয়ে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আব্দুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান।


রাজধানী দামেস্কে দুই নেতার বৈঠক হয়। সিরিয়ায় সহায়তা পাঠানোয় জায়েদকে ধন্যবাদ জানান প্রেসিডেন্ট আসাদ।


যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানো নিয়ে বেশ জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে বিদ্রোহী অধ্যুষিত এলাকায় নানা বাধা রয়েছে। উদ্ধারকারী দল এবং ত্রাণ সহায়তা পৌঁছাতে আসাদ সরকারের সহায়তা চেয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো।


এমন বিপর্যয়ের মধ্যেও তুরস্কের বিধ্বস্ত অঞ্চলে ৪ দশমিক ৬ মাত্রার আফটারশক আঘাত হেনেছে। বিষয়টি জানিয়েছে দেশটির দুর্যোগ  ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।


উল্লেখ্য, গত ৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্ক-সিরিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ধসে গেছে কয়েক হাজার ঘরবাড়ি। বাস্তচ্যুত লাখ লাখ মানুষ।

মন্তব্যসমূহ