হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

তুরস্ক-সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৫০ হাজার

 




১৯ দিন আগে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে। এই মৃতদের অধিকাংশই তুরস্কের।


দুই দেশের দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তরসূত্রে জানা গেছে এই তথ্য। তুরস্কের দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পের পর গত ১৯ দিনে দক্ষিণাঞ্চলীয় কাহরামানমারাশ ও উপদ্রুত অন্যান্য শহর ও গ্রাম থেকে এ পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে ৪৪ হাজার ২১৮ জনের মৃতদেহ।


অন্যদিকে সিরিয়ার বেসামরিক প্রতিরক্ষাবাহিনী হেয়াইট হেলমেটের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় আলেপ্পো প্রদেশের বিভিন্ন উপদ্রুত এলাকা থেকে এ পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে ৫ হাজার ৯১৪ জনের মৃতদহ।


অর্থাৎ, গত ১৯ দিনে দুদেশে উদ্ধারকৃত মৃতদেহের মোট সংখ্যা পৌঁছেছে ৫০ হাজার ১৩২ জনে।


৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্ক ও তার প্রতিবেশী দেশ সিরিয়া। ওই ভূমিকম্পের ১৫ মিনিট পর ৬ দশমিক ৭ মাত্রার আরও একটি বড় ভূমিকম্প এবং পরে অনেকগুলো আফটারশক হয়।


যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের তাৎক্ষণিক এক বিবৃতিতে বলা হয়, তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় কাহরামানমারাশ প্রদেশের গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে ভূপৃষ্ঠের ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল।


তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্ত থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে গাজিয়ানতেপ শহরের অবস্থান। সীমান্তের একপাশে তুরস্কের কাহরামানমারাশ প্রদেশ, অন্যপাশে সিরিয়ার উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ আলেপ্পো।


সিরিয়া-তুরস্কের বিস্তীর্ণ এলাকা এখন শুধুই ধ্বংসস্তূপ। ভূমিকম্পের কবলে পড়ে তাসের ঘরে মতো ভেঙে পড়েছে ঘরবাড়িগুলো। জাতিসংঘের অনুমান, শুধু তুরস্কেই ভেঙে পড়েছে ২ লক্ষ ৬৪ হাজার বাড়ি। আর সিরিয়াতেও অন্তত হাজার পঞ্চাশেক বাড়ি ভেঙে পড়েছে বলে অনুমান ত্রাণকর্মীদের।


ধ্বংসস্তূপের নীচে আরও কত হাজার মানুষ চাপা পড়ে রয়েছেন, তার কোনো পরিসংখ্যান এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।


সূত্র: রয়টার্স

মন্তব্যসমূহ