জিম্মিকে ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরাইলের ছয় বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এ দিনই ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল ইসরাইলের। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে ইসরাইলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আপাতত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না। শনিবার দিবাগত রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। খবর এএফপির। নেতানিয়াহু বলেন, ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের জিম্মিদের অসম্মান করা এবং অপপ্রচারের জন্য জিম্মিদের নিন্দনীয়ভাবে ব্যবহার করাসহ হামাসের বারবার (যুদ্ধবিরতির চুক্তি) লঙ্ঘনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পরবর্তী ধাপে অপমানজনক অনুষ্ঠান ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত শনিবার যেসব সন্ত্রাসীদের (ফিলিস্তিনি) মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাদের ছাড়া হবে না।’ দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস রক্তাক্ত সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর পর থেকে যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের মুক্তির সময় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ...

তুরস্ক-সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৫০ হাজার

 




১৯ দিন আগে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে। এই মৃতদের অধিকাংশই তুরস্কের।


দুই দেশের দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তরসূত্রে জানা গেছে এই তথ্য। তুরস্কের দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পের পর গত ১৯ দিনে দক্ষিণাঞ্চলীয় কাহরামানমারাশ ও উপদ্রুত অন্যান্য শহর ও গ্রাম থেকে এ পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে ৪৪ হাজার ২১৮ জনের মৃতদেহ।


অন্যদিকে সিরিয়ার বেসামরিক প্রতিরক্ষাবাহিনী হেয়াইট হেলমেটের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় আলেপ্পো প্রদেশের বিভিন্ন উপদ্রুত এলাকা থেকে এ পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে ৫ হাজার ৯১৪ জনের মৃতদহ।


অর্থাৎ, গত ১৯ দিনে দুদেশে উদ্ধারকৃত মৃতদেহের মোট সংখ্যা পৌঁছেছে ৫০ হাজার ১৩২ জনে।


৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্ক ও তার প্রতিবেশী দেশ সিরিয়া। ওই ভূমিকম্পের ১৫ মিনিট পর ৬ দশমিক ৭ মাত্রার আরও একটি বড় ভূমিকম্প এবং পরে অনেকগুলো আফটারশক হয়।


যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের তাৎক্ষণিক এক বিবৃতিতে বলা হয়, তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় কাহরামানমারাশ প্রদেশের গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে ভূপৃষ্ঠের ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল।


তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্ত থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে গাজিয়ানতেপ শহরের অবস্থান। সীমান্তের একপাশে তুরস্কের কাহরামানমারাশ প্রদেশ, অন্যপাশে সিরিয়ার উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ আলেপ্পো।


সিরিয়া-তুরস্কের বিস্তীর্ণ এলাকা এখন শুধুই ধ্বংসস্তূপ। ভূমিকম্পের কবলে পড়ে তাসের ঘরে মতো ভেঙে পড়েছে ঘরবাড়িগুলো। জাতিসংঘের অনুমান, শুধু তুরস্কেই ভেঙে পড়েছে ২ লক্ষ ৬৪ হাজার বাড়ি। আর সিরিয়াতেও অন্তত হাজার পঞ্চাশেক বাড়ি ভেঙে পড়েছে বলে অনুমান ত্রাণকর্মীদের।


ধ্বংসস্তূপের নীচে আরও কত হাজার মানুষ চাপা পড়ে রয়েছেন, তার কোনো পরিসংখ্যান এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।


সূত্র: রয়টার্স

মন্তব্যসমূহ