হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

কাখোভকা বাঁধ উড়িয়ে দেওয়ার ছক কষছে রাশিয়া : জেলেনস্কি

 




ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দেশের দক্ষিণাঞ্চলে একটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাঁধ উড়িয়ে দেওয়ার ছক কষার অভিযোগ করেছেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে। বাঁধ উড়িয়ে দেওয়া হলে ‘বড় ধরনের বিপর্যয়’ ঘটবে বলে তিনি সতর্ক করেন।


বৃহস্পতিবার রাতের এক ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনের তথ্যানুযায়ী, নিপ্রো নদীর নোভা কাখোভকা বাঁধটি রুশ বাহিনী খনন করেছিল। খবর রয়টার্স ও বিবিসির।


জেলেনস্কি পশ্চিমা নেতাদের কাছে অনুরোধ করেছেন রাশিয়াকে সতর্ক করার জন্য যেন তারা এমন একটি বাঁধ উড়িয়ে না দেয়। এ বাঁধটি ক্ষতিগ্রস্থ হলে দক্ষিণ ইউক্রেনের একটি বিশাল এলাকা প্লাবিত হবে।


বিবিসি জানায়, বাঁধটি এখন রাশিয়ার দখলে আছে। তবে ইউক্রেনীয় বাহিনী বাঁধটির কাছে অগ্রসর হচ্ছে। রাশিয়া এরই মধ্যে নোভা কাখোভকা বাঁধে ইউক্রেনীয় সেনাদের ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার অভিযোগ করেছে।


কিন্তু টিভিতে প্রচারিত ভাষণে জেলেনস্কি বলেছেন, রুশ বাহিনী বাঁধের ভেতরের দিকে বিস্ফোরক পেতে রেখেছে এবং এটি উড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।


বাঁধটি ধ্বংস হয়ে গেলে ইউরোপের সবচেয়ে বড় জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের শীতলীকরণ ব্যবস্থায় ব্যাঘাত ঘটবে বলে জানান জেলেনস্কি।


এ পরিস্থিতিতে বিশ্বের প্রত্যেকেরই খুব দ্রুত এবং শক্তিশালীভাবে রাশিয়ার এই সন্ত্রাসী হামলা ঠেকাতে তৎপর হওয়া উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।


সতর্ক করে দিয়ে জেলেনস্কি বলেন, ওই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিশাল জলাধার আছে। রাশিয়া বাঁধ উড়িয়ে দিলে এর পাদদেশের ৮০ টিরও বেশি বসতিসহ খেরসন অঞ্চলও বন্যায় ভেসে যাবে। এতে লাখো মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

রাশিয়া এরই মধ্যে বাঁধটিতে ইউক্রেনীয় বাহিনীর হামলা চালানোর যে অভিযোগ করছে, সেটি তাদের নিজেদের দোষ কিয়েভের ওপর চাপানোর লক্ষণ বলেই মনে করছেন ইউক্রেনের কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, রুশ বাহিনী হয়ত বাঁধটি উড়িয়ে দিয়ে এর জন্য কিয়েভকে দোষারোপ করতে পারে।

মন্তব্যসমূহ