জিম্মিকে ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরাইলের ছয় বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এ দিনই ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল ইসরাইলের। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে ইসরাইলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আপাতত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না। শনিবার দিবাগত রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। খবর এএফপির। নেতানিয়াহু বলেন, ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের জিম্মিদের অসম্মান করা এবং অপপ্রচারের জন্য জিম্মিদের নিন্দনীয়ভাবে ব্যবহার করাসহ হামাসের বারবার (যুদ্ধবিরতির চুক্তি) লঙ্ঘনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পরবর্তী ধাপে অপমানজনক অনুষ্ঠান ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত শনিবার যেসব সন্ত্রাসীদের (ফিলিস্তিনি) মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাদের ছাড়া হবে না।’ দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস রক্তাক্ত সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এর পর থেকে যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের মুক্তির সময় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ...

পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ায় ৩ কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করল ভারত


চলতি বছরের মার্চে ভুল করে পাকিস্তানে ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার ঘটনায় বিমানবাহিনী তিন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করল ভারত। আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে দেশটির বিমানবাহিনী।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়, বিবৃতিতে ভারতের বিমানবাহিনী জানিয়েছে, ২০২২ এর ৯ মার্চ একটি ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র ভুল করে ছোড়ার ঘটনা ঘটে। তদন্তের পর তিন জন কর্মকর্তা এই কাজের জন্য প্রাথমিকভাবে দায়ী। তাদের এই মুহূর্ত থেকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হচ্ছে।

মার্চে পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পরই ভারতের পক্ষ থেকে দুঃখপ্রকাশ করা হয়। এর পেছনে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কথা সেই সময় বলা হয়েছিল। পাশাপাশি তদন্তও শুরু হয়েছিল।

অন্যদিকে, পাকিস্তানের দাবি ছিল, ক্ষেপণাস্ত্রটি তাদের আকাশসীমার ১০০ কিলোমিটার ভেতরে শব্দের চেয়ে তিন গুণ গতিতে আছড়ে পড়ে। ক্ষেপণাস্ত্রে বিস্ফোরক না থাকায় বিস্ফোরণ হয়নি

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে পাকিস্তানে ভারতের হাইকমিশনারকে ডেকে পাঠায় ইসলামাবাদ। তার কাছে প্ররোচনাহীনভাবে ভারতের আকাশসীমা লঙ্ঘনের ঘটনায় তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। পাকিস্তান এ ব্যাপারে তদন্তও শুরু করে। সেই তদন্তের প্রতিবেদনে বলা হয়, সেই সময় ক্ষেপণাস্ত্রটি কোনো যাত্রীবাহী বিমানে আঘাত করতে পারত। সেক্ষেত্রে বহু মানুষের প্রাণ যেতে পারত।


মন্তব্যসমূহ