হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

৬৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন পি কে হালদারের ২ নারী সহযোগী

 




গ্রেপ্তার হওয়া পি কে হালদারের দুই নারী সহযোগী শারমিন আহমেদ (৪২) ও তানিয়া আহমেদ (৩৭) গ্রাহকের ৬৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে জানিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব)। আজ বুধবার দুপুরে কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থার লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।


তিনি জানান, পি কে হালদারের অন্যতম সহযোগী পিএলএফএসএল কোম্পানির পরিচালক খবির উদ্দিন। শারমিন ও তানিয়া খবির উদ্দিনের মেয়ে। বাবার মাধ্যমেই তারা ঋণ নেন। প্রায় দেড় যুগ ধরে কানাডায় অবস্থান করে শারমিন ৩১ কোটি ও তানিয়া ৩৩ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ করেন। গত ২৮ জুলাই দুই বোন কানাডা থেকে দেশে ফেরেন। আজ তাদের কানাডার উদ্দেশ্যে দেশত্যাগের পরিকল্পনা ছিল। গোপন নজরদারির ভিত্তিতে ভোরে রাজধানীর ধানমন্ডি ও শ্যামলী এলাকা থেকে  তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।


র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ১৯৯৭ সালের ২৪ নভেম্বর আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পিপলস্ লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানিকে অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। পরবর্তীকালে নানা অনিয়ম ও আর্থিক দুর্নীতির কারণে ২০১৯ সালে কোম্পানিটির সার্বিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ সময় আদালত পি কে হালদারসহ প্রতিষ্ঠানটির বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পনোয়ানা জারি করেন। গত ১৪ মে কয়েক হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে পি কে হালদারকে গ্রেপ্তার করে  ভারতের একটি গোয়েন্দা বাহিনী।


কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, পিএলএফএসএল কোম্পানির পরিচালক খবির উদ্দিন পি কে হালদারের অন্যতম সহযোগী। তিনি প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত পরিচালক পদে কর্মরত ছিলেন। এ সময়ে নিজে প্রায় ২০০ কোটি টাকা পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের নামে-বেনামে ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করেন। পরবর্তীকালে ২০১০ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্তে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এ পদ থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।


চলতি বছরের ৭ মার্চ প্রতিষ্ঠানটির ঋণ খেলাপিদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। নির্ধারিত দিনে আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় গত ১৯ এপ্রিল আদালত তাদের গ্রেপ্তার করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেন। পরে র‌্যাব জানতে পারে, প্রতিষ্ঠানের দুজন ঋণখেলাপি বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। এরপরই র‌্যাব তাদের গ্রেপ্তার করতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায়। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার ভোরে ঋণখেলাপি শারমিন আহমেদ ও তানিয়া আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞসাবাদে তারা বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে আত্মসাতের উদ্দেশে ঋণ নেওয়ার সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তথ্য দেন।


জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, তাদের বাবা প্রতিষ্ঠানটির সাবেক পরিচালক খবির উদ্দিনের মাধ্যমে ঋণ নিয়েছেন। প্রায় দেড় যুগ ধরে কানাডায় অবস্থান করে গ্রেপ্তার শারমিন ৩১ কোটি ও তানিয়া ৩৩ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।

মন্তব্যসমূহ