গাজার আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত ৭৩

  যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার উত্তরে বেইত লাহিয়ার একটি আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর  হামলায় কমপক্ষে ৭৩ জন নিহত হয়েছে। গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি এই তথ্য দিয়েছে। তবে ইসরায়েল বলেছে, গাজার একটি ‘সন্ত্রাসী’ লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে। খবর এএফপির। সিভিল ডিফেন্স এজেন্সির মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেন, ‘গাজার উত্তরে বেইত লাহিয়ার আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর হামলার পর আমাদের এজেন্সির কর্মীরা ৭৩ জন শহীদের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও অনেকে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ধ্বংসস্তুপের নিচে এখনও বেশ কয়েকজন শহীদের মরদেহ রয়ে গেছে।’ মাহমুদ বাসাল জানান, শনিবার (১৯ অক্টোবর) দিনের শেষ ভাগে ইসরায়েলের চালানো ওই হামলায় বেশ কয়েকটি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাজার সরকারি গণমাধ্যম মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত করে জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নারী ও শিশু রয়েছে। হামলাটি চালানো হয় একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায়। ইসরায়েলের সামরিক কর্তৃপক্ষ বলেছে, প্রতিরক্ষা বিভাগের (আইডিএফ) কাছে আসা তথ্যের সঙ্গে হতাহতের সংখ্যার মিল নেই। তবে, এ বিষয়ে কোনো বিস্তারিত বিবরণও তারা দেয়নি বা কাদের লক্ষ্য করে ওই হামলা চালানো হয়েছ

পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যায় ৯৩৭ জনের মৃত্যু, জরুরি অবস্থা জারি

 




পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যায় এ পর্যন্ত ৯৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ৩৪৩টি শিশু রয়েছে।


বর্তমানে দেশটির ৩ কোটি মানুষ পানিবন্দি এবং ২ লাখ ২০ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।


এ অবস্থায় দেশটির সরকার শুক্রবার পাকিস্তান জুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছে। খবর আল-জাজিরার।


পাকিস্তানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বা এনডিএমএ জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে ৩৪ জন।


এ বছরের বন্যায় পাকিস্তানের এক পঞ্চমাংশের বেশি এলাকা পানির নীচে তলিয়ে গেছে।


এর আগে পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যা হয়েছিল ২০১০ সালে। সেবছর দেশটিতে দুই হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়ে ছিলেন।


পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, বন্যায় প্রায় তিন কোটি ৩০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।


এছাড়া পাকিস্তানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা বলেছে, এবারের বন্যায় সারাদেশে প্রায় দুই লাখ ২০ হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস এবং অপর প্রায় পাঁচ লাখ ঘরবাড়ি আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে।

মন্তব্যসমূহ