শুক্রবার ক্লাসের সিদ্ধান্ত হয়নি, ভুলবশত ফেসবুকে পোস্ট হয়েছিল

শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বরাতে যে বক্তব্যটি শিক্ষামন্ত্রণালয় তাদের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে পোস্ট দিয়েছিল তা ভুলবশত বলে জানিয়েছে তারা। অপর এক পোস্টে আজ রোববার (৫ মে) বিকেলে ৪টার দিকে এই তথ্য জানায় তারা। এই পোস্টে মন্ত্রণালয় আরও বলেছে,  শুক্রবারের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ফেসবুক পেজ থেকে আগের পোস্টটি সরিয়ে নতুন পোস্টে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে ‘শুক্রবার শিক্ষা খোলার বিষয়ের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড পেজে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে দেওয়া তথ্য ভুলবশত পোস্ট করা হয়েছে। এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারের পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’  এর আগে একই পেজে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে বলা হয়েছিল, ‘আমাদের এখন বছরে স্কুলের মোট কর্মদিবস ১৮৫টি। এর মধ্যে ২০ দিন নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নের জন্য রাখা হয়েছে। স্কুলের কর্মদিবস যদি আরও কমে যায়, শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে।’

ভারতের মনিপুরে ভূমিধসে ১৪ জনের মৃত্যু

 




ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মনিপুরে প্রবল বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট ভূমিধসে অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং নিখোঁজ রয়েছে আরও অর্ধশতাধিক মানুষ।


ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, মনিপুরের ননী জেলায় টুপুল ইয়ার্ড রেলওয়ে কন্সট্রাকশন সাইটের কাছে একটি সেনা ক্যাম্পে বুধবার গভীর রাতে ওই ভূমিধসের ঘটনা ঘটে।


জিরিবাম থেকে ইম্ফল পর্যন্ত একটি রেললাইন নির্মাণ কাজের নিরাপত্তার জন্য টুপুল রেলওয়ে স্টেশনের কাছে টেরিটোরিয়াল আর্মির সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছিল। ভূমিধস যখন হয়, তারা তখন তাঁবুর ভেতর ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন।


যাঁদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, তাঁদের অন্তত সাত জন টেরিটোরিয়াল আর্মির সদস্য বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।


স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে রয়টার্স লিখেছে, বৃহস্পতিবার সকালে কাদা-মাটিতে চাপা পড়া ১৯ জনকে জীবিত অবস্থায় বের করে আনতে সক্ষম হন উদ্ধারকর্মীরা। এ ছাড়া লাশ উদ্ধার করা হয় ১৪ জনের। কিন্তু, ভারী বৃষ্টির কারণে তাদের উদ্ধারকাজে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে।


জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হাউলিয়ানলাল গুইতে রয়টার্সকে বলেছেন, ওই ক্যাম্পে সেনা সদস্য ও রেলকর্মী মিলিয়ে মোট ৮১ জন ছিলেন। ১৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও বাকিদের পাওয়ার আশা ক্ষীণ হয়ে আসছে।


এ বছর জুন মাসে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাত রাজ্য এবং বাংলাদেশে অস্বাভাবিক মাত্রায় বৃষ্টি হয়েছে। বন্যা ও ভূমিধসে দুই দেশের প্রাণ গেছে অন্তত দেড়শ মানুষের। লাখ লাখ মানুষ বন্যায় ঘর হারিয়ে উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়েছে।

মন্তব্যসমূহ