হিজবুল্লাহর ভয়াবহ রকেট হামলা, প্রতিরোধে ব্যর্থ ইসরাইল

লেবানন থেকে ফিলিস্তিনির হাইফা এবং গালিলি অঞ্চলের দিকে অন্তত ৩৫টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। সেনা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ লেবানন থেকে এই রকেট হামলা চালানো হয়, এবং এসব রকেট হাইফা এবং পশ্চিম গালিলির দখলকৃত অঞ্চলে আঘাত হানে। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কোনো রকেট বিধ্বস্ত করতে সক্ষম হয়নি। হাইফা শহরের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলার সতর্কবার্তা শোনার খবর পাওয়া গেছে। আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেল জানায়, হাইফার উত্তরে আল-কিরিওত এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জায়নিস্ট গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দখলকৃত পশ্চিম গালিলির ইয়ারা শহরে এক ভবন হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে যায়। অপরদিকে, আভিভিম, ইয়রাউনসহ ওপরের গালিলির বেশ কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সতর্কবার্তা বাজানো হয়। সূত্র: মেহের নিউজ

ভারতের মনিপুরে ভূমিধসে ১৪ জনের মৃত্যু

 




ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মনিপুরে প্রবল বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট ভূমিধসে অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং নিখোঁজ রয়েছে আরও অর্ধশতাধিক মানুষ।


ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, মনিপুরের ননী জেলায় টুপুল ইয়ার্ড রেলওয়ে কন্সট্রাকশন সাইটের কাছে একটি সেনা ক্যাম্পে বুধবার গভীর রাতে ওই ভূমিধসের ঘটনা ঘটে।


জিরিবাম থেকে ইম্ফল পর্যন্ত একটি রেললাইন নির্মাণ কাজের নিরাপত্তার জন্য টুপুল রেলওয়ে স্টেশনের কাছে টেরিটোরিয়াল আর্মির সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছিল। ভূমিধস যখন হয়, তারা তখন তাঁবুর ভেতর ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন।


যাঁদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, তাঁদের অন্তত সাত জন টেরিটোরিয়াল আর্মির সদস্য বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।


স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে রয়টার্স লিখেছে, বৃহস্পতিবার সকালে কাদা-মাটিতে চাপা পড়া ১৯ জনকে জীবিত অবস্থায় বের করে আনতে সক্ষম হন উদ্ধারকর্মীরা। এ ছাড়া লাশ উদ্ধার করা হয় ১৪ জনের। কিন্তু, ভারী বৃষ্টির কারণে তাদের উদ্ধারকাজে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে।


জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হাউলিয়ানলাল গুইতে রয়টার্সকে বলেছেন, ওই ক্যাম্পে সেনা সদস্য ও রেলকর্মী মিলিয়ে মোট ৮১ জন ছিলেন। ১৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও বাকিদের পাওয়ার আশা ক্ষীণ হয়ে আসছে।


এ বছর জুন মাসে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাত রাজ্য এবং বাংলাদেশে অস্বাভাবিক মাত্রায় বৃষ্টি হয়েছে। বন্যা ও ভূমিধসে দুই দেশের প্রাণ গেছে অন্তত দেড়শ মানুষের। লাখ লাখ মানুষ বন্যায় ঘর হারিয়ে উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়েছে।

মন্তব্যসমূহ